ক্ষীরপাইতে নবদম্পতি অষ্টমঙ্গলায় রক্তদান করে নজির সৃষ্টি করলেন

রবীন্দ্র কর্মকার: অষ্টমঙ্গলা অনুষ্ঠানে নিজেরাই রক্তদান শিবির করে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্তের নজির গড়লেন

ক্ষীরপাইয়ের ঘোষ পরিবার। ১৩ আগস্ট  ক্ষীরপাই পুরসভার বাসিন্দা তনুপ ঘোষ ও কান্তা ঘোষের বাড়িতে এই পারিবারিক অনুষ্ঠানটি যেন একটুকরো সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়ে ওঠে। মেয়ে দীপান্বেষা ও জামাই শান্তনু দের অষ্টমঙ্গলা উপলক্ষ্যে এইভাবে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন মহকুমার মানুষ কখনও দেখেননি। তাই এদিন শিবিরে রক্তদান করতে সামিল হয়েছিলেন অনেকেই। উপস্থিত ছিলেন ক্ষীরপাই পুরসভার চেয়ারম্যান দুর্গাশঙ্কর পান সহ অনেকেই। ওই শিবিরে ৩০ জন রক্তদানও করেন। প্রত্যেকের জন্য ছিল খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা। মেয়ে-জামাইকে আশীর্বাদ করে বাড়ি যাবার সময় প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি করে পেয়ারাগাছের চারা। পরিবার-সমাজ ও প্রৃকতির মেলবন্ধনে এমন একটি অনুষ্ঠান সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।

এব্যাপারে দীপান্বেষা বলেন, বাবা-মায়ের মুখে শুনেছি ছোটবেলায় আমার অসুস্থতার জন্য আমাকে রক্ত দিতে হয়েছিল। তাই আমার যখন ১৮ বছর বয়স হয়, তখন  নিজের বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে শিবিরের আয়োজন করে প্রথম রক্তদান করি। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত আমি ১২ বার রক্তদান করেছি। এইভাবে যতদিন পারব রক্তদানের মাধ্যমে মানুষের পাশে থাকব। দীপান্বেষার বাবা তনুপবাবু একজন রক্তদান আন্দোলনের কর্মী। তিনিও এনিয়ে ৫৪ বার রক্তদান করেছেন। তনুপবাবুর জামাই শান্তনু দে এদিন জীবনের প্রথমবার রক্তদান করেন। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর বাড়ি মেদিনীপুর শহরে। বর্তমানে দুবাইতে চাকরি করেন। জীবনের প্রথমবার রক্তদান করার অভিজ্ঞতাকে তিনিও পাথেয় করে রাখেন নিজের অষ্টমঙ্গলা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!