এখনও জলহরিতে মিলে দৈত্যাকার রুই কাতলা

চারিদিকে জল আর মাঝে ঘর,ঘাটাল মহকুমার ঐতিহাসিক লঙ্কাগড়ের জলহরি। নাড়াজোল রাজাদের আমলে তৈরি এই জলহরি। কথিত আছে,নাড়াজোলের রাজবাড়ির অন্দর মহল থেকে এই জল হরি পর্যন্ত ছিল গোপন সুড়ঙ্গ। সে সুড়ঙ্গ দিয়ে এই জলাশয়ের স্নানঘরে যাতায়াতের ব্যবস্থা ছিল।

সময়ের কালে মজেগেছে সে সুড়ঙ্গ! তবে এখনো আছে সেই স্নানঘর ও জলাশয়। এই বৃহদাকার গভীর জলাশয়ে ছিল রাজাদের পছন্দের রুই কাতলা মৃগেল।
রাজার আমলের মাছ না থাকলেও রাজার তৈরি পরিখায় আজও মিলে দৈত্যাকার রুই কাতলার মত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। মাছ ধরা যাদের নেশা তারা প্রায়ই এখানে ভিড় জমান। ছিপ দিয়ে মাছ ধরার জন্য এখানে আছে সুব্যবস্থা। তবে নেশার মূল্যও নেহাত কম নয়,সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত এদের তৈরি মাচায় বসে ইচ্ছে খুশি বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরার খরচ ২৫০০টাকার আসেপাশে। টাকা যাইহোক,রাজার হালে মাছ ধরতে দূর দূরান্ত থেকে মাছ শিকারীদের ভিড়ও থাকে চোখে পড়ার মতো। মাছ শিকারের নেশা থাকলে একটু খোঁজনিয়ে বঁড়শি নিয়ে যেতেই পারেন ঘাটাল মেদিনীপুর সড়কের ধারে লঙ্কাগড়ের এই জলহরিতে।

সৌমেন মিশ্র: পাঠকের কাছে তথ্য ভিত্তিক সত্য সংবাদ পৌঁছে দেওয়াই আমার দায়িত্ব। মোবাইল-৯৯৩২৯৫৩৩৬৭