ঘাটাল পাশকুড়া সড়কের হাল বেহাল! তবে কি এবার সুখবর আসছে?

সারানোর সাথে সাথে মাস ঘোরার আগেই বারে বারে খারাপ হচ্ছে ঘাটাল পাঁশকুড়া সড়ক। রাস্তার এই বেহাল অবস্থায় ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। খুকুড়দহ থেকে ঘাটাল ১৬ কোটি টাকা ব্যয় করে তৈরি হল ঝাঁ চকচকে রাস্তা। কিন্তু মাস ফুরোনোর আগেই আবার রাস্তার হাল বেহাল। কেন বারে বারে ঘাটাল পাঁশকুড়া সড়কের এমন দুরাবস্থা হচ্ছে।

তবে রাজ্য পুর্ত দপ্তরের সড়ক বিভাগের ঘাটাল হাইওয়ে ডিভিশনের এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার গোকুল দাস মালাকার এই রাস্তা খারাপের জন্য যুক্তি গ্রাহ্য তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন,ঘাটাল পাঁশকুড়া সড়ক খারাপ হওয়ার পিছনে দায়ী এই রাস্তায় অতিরিক্ত মালবাহী যানচলাচল। রাস্তার বহন ক্ষমতা ২০ টন কিন্তু সে লোড ক্যাপাশিটির বাইরে ৭০ টন পর্যন্ত মালবাহী গাড়ি এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে।

তাহলে কি আগে এই রাস্তায় এমন ভারী যানবাহন যেত না? গোকুলবাবু বলেন,রাস্তা তৈরির আগে সে রাস্তার সম্ভাব্য লোড,ভূমিরূপ এসব দেখেই রাস্তা নির্মিত হয়। যানবাহন বাড়ার সাথে সাথে ঘাটাল পাঁশকুড়া সড়ক তৈরির তৎকালীন লোড ক্যাপাসিটি থেকে বর্তমানের লোড ক্যাপাসিটিতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। তার উপর এখন চৌরঙ্গী থেকে রাণীগঞ্জ জাতীয় সড়কে ধাধিকা ব্রিজটিতে ফাটলের কারণে ভারী মালবাহী গাড়ির যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। আর সেই সব মালবাহী গাড়ির বেশিরভাগই এখন ঘাটাল পাঁশকুড়া সড়ক হয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে। মাল বোঝাই ওইসব গাড়ির প্রায় সবকটিই ২০ টনের বেশি,৭০ টন পর্যন্ত।আমাদের ঘাটাল পাঁশকুড়া সড়কের লোড ক্যাপাসিটি ২০ টনের বেশি নয়। নিয়মিত এই অতিরিক্ত ভার বহন করতে পারছে না ঘাটাল পাঁশকুড়া সড়ক। ফলে স্থানে স্থানে রাস্তা বসে যাওয়া,রাস্তার উপরিভাগের পিচের পরত সরে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটছে।

এবার ঘাটাল পাঁশকুড়া সড়ক নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য পূর্ত দপ্তরের সড়ক বিভাগ। বর্তমানের ৭মিটার রাস্তা বেড়ে হতে পারে ১৪ কিংবা ফোর লেনের ১৬ মিটার চওড়া সড়ক।
এতি মধ্যেই সমীক্ষা শুরু করেছে পূর্ত দপ্তর। এই রাস্তা দিয়ে দিনে মোট কত যানবাহন চলে,তাদের মধ্যে ভারী যানবাহনের পরিমান কেমন। গাড়ি গুলিতে গড় কত টন মালবহন হচ্ছে। এই সমস্ত বিষয়ের উপর সমীক্ষা করে এই ঘাটাল পাঁশকুড়া সড়ক ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হচ্ছে পূর্ত দপ্তর। পূর্ত দপ্তর থেকে ঘাটাল পাঁশকুড়া সড়কের নিমতলা ও কুসপাতার মাঝে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। পূর্ত কর্মীদের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ঘন্টায় ২০০ এর উপরে এই রাস্তাদিয়ে যানবাহনের যাতায়াত। এক ঘন্টায় মালবাহী গাড়ির পরিমাণটাও নেহাত কম নয়,তাও প্রায় ৩৫ টির মত। সেগুলির আবার প্রায় প্রিতিটিরই ওজন ২০ টন ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

কর্মীদেরও মত মূলত অতিরিক্ত মালবাহী গাড়ি এবং মাত্রাতিরিক্ত যান চলাচলের লোড নিতে পারছে না এই সড়ক। মালবাহী যানবাহন গুলিকে গড় ৪০ টনের উপর মাল নিয়ে চলতে দেখা যাচ্ছে। এই সমীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যাবে রাস্তাটিতে সর্বোচ্চ কত ভারী যানবাহন চলে। সেই অনুযায়ী রাস্তার পুননির্মান করা হবে।

সৌমেন মিশ্র: পাঠকের কাছে তথ্য ভিত্তিক সত্য সংবাদ পৌঁছে দেওয়াই আমার দায়িত্ব। মোবাইল-৯৯৩২৯৫৩৩৬৭