বেহাল ফ্লাড শেল্টার,ঠাঁই নাই দাসপুরের বানভাসিদের!

নামেই আছে ফ্লাড সেল্টার বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাতে গিয়ে উঠলে ঝড় বা বন্যায় ক্ষতি না হলেও আপদকালীন অবস্থায় এখানে বিপদ আপনার মাথার উপরে। ওপরে তাকালেই সিলিং থেকে ঝুলে আছে কংক্রিটের চাঁই। যে পিলারের ওপর এ ফ্লাড সেল্টার সে পিলার থেকে বেরিয়ে এসেছে লোহার মরচে ধরা রড।

১৯৭৮ সালের বন্যার পর বাম আমলে তৈরি এ ফ্লাড সেন্টারের সংস্কার আর হয়নি। বছরে প্রাকৃতিক ঝঞ্ঝার পরিমান অনেক বাড়লেও জেলার দাসপুর ২ ব্লকের চাঁইপাট, কামালপুর, নিশ্চিন্দিপুর, মাগুড়িয়া, চককিশোর সহ বিভিন্ন এলাকায় ফ্লাড শেল্টারগুলির-বর্তমান অবস্থা এমনই…
যে অবস্থা দেখে দুশ্চিন্তায় সয়ং ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক থেকে এলাকাবাসীরা।

আমপান, ইয়াস বা করোনার এই মহামারীর সময়েও এই ফ্লাড শেল্টার গুলো ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী। এলাকাবাসীদের দাবি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে এ ফ্লাড সেন্টার গুলি,দ্রুত প্রশাসনের উদ্যোগে এ ফ্লাড সেন্টার গুলি মেরামত করা হোক- না হলে ভেঙ্গে ফেলা হোক ।

দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আশিষ হুতাইত কার্যত ফ্লাড সেন্টারগুলির এই দুরাবস্থার কথা স্বীকার করলেও তৎকালীন সরকারেরকে দায়ি করেছেন দ্রুত এই ফ্লাড সেন্টারগুলি ভেঙে পড়ার জন্য। তিনি বলেন ফ্লাড শেল্টার গুলি সত্যিই ভগ্নপ্রায়, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব তবে তৎকালীন সময়ে অবৈজ্ঞানিক ভাবে ফ্লাড সেল্টার গুলি তৈরি করার জন্যই এ অবস্থা। তিনি জানান,এটি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নজরে আনা হচ্ছে।

সামনেই বর্ষা, দাসপুরের একদিকে শিলাবতী,একদিকে কাঁসাই আর অন্যদিকে রূপনারায়ণের জলের তোড়। বাঁধ ভেঙে বন্যা পরিস্থিতি হলে জলে কুমির ডাঙায় বাঘের মতো নিরুপায় হয়ে ভগ্ন ফ্লাড সেল্টারে আশ্রয় নিয়ে নিচে জলের স্রোত আর মাথার উপরে কংক্রিটের চাঙড় দেখে রাত কাটাতে হবে নাতো? দুঃস্বপ্নের প্রহর গুনছে দাসপুর বাসী। ব্যুরো রিপোর্ট, স্থানীয় সংবাদ ঘাটাল।

সৌমেন মিশ্র: পাঠকের কাছে তথ্য ভিত্তিক সত্য সংবাদ পৌঁছে দেওয়াই আমার দায়িত্ব। মোবাইল-৯৯৩২৯৫৩৩৬৭