বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করতে ধরনায় বসলেন প্রেমিকা

 তনুপ ঘোষ, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: প্রায় ৯ বছর আগের আলাপ। পরে প্রেম। তারপর আরও গভীর সম্পর্কে গিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস। তারপরই বিয়ে করতে অস্বীকার ক্ষীরপাই পুরসভার কাশীগঞ্জের বাসিন্দা সেনাবাহিনীর কর্মী মুজিবর ওরফে আতাউল চৌধুরীর। বিয়ে করতে অস্বীকার করতেই আজ ১৭ জুলাই রবিবার সন্ধ্যার মুখে মুজিবরের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন সালমা খাতুন নামে এক মহিলা। সালামার বাড়ি চন্দ্রকোণা থানার হাটপুকুরে। গলায় প্লাকার্ড ঝুলিয়ে সবার সামনে সালমা বলেন, আমি মুজিবরকে বিয়ে করতে চাই অন্যায়ের প্রতিবাদ চাই মুজিবরের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি। যতক্ষণ না মুজিবর আমায় বিবাহ করে ততক্ষণ পর্যন্ত ধরনা চলবে। ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী বলেন, পুলিশ গিয়ে সালমাকে ধরনা থেকে তুলে ক্ষীরপাই ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়েছে। যদিও মুজিবরের দিদি বলেন, সালমা মোটেই সুবিধার নয়। ও একটা প্রতারক। ও আগের বিয়ে গোপন করে ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথমে প্রেম কিছু দিন চলার পরই মুজিবর সালমার সঙ্গে রিলেশন কেটে দেন। ফলে সালমার বাড়ির লোকেরা সালমার অন্য জায়গায় বিয়েও দেন। সেখানে বেশ সুখের সংসার চলছিল। সালমার আইনজীবী সমীর ঘোষ বলেন, পুরানো দিনের কথা ভুলে গিয়ে সালমা সেখানে ঘর সংসার করে। একটি সন্তানও হয়। কিন্তু সালমা সুখে সংসার করছেন দেখে মুজিবর ফের তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে সালমাকে জানায়, ওই স্বামীকে ছেড়ে দিলে সে তাঁকে সত্যিই বিয়ে করবে। আর যদি স্বামীকে না ছাড়ে তাহলে সে প্রেম চলাকালীন সমস্ত ছবি ভাইরাল করে দেবে। সালমা বলেন, জীবনের প্রথম প্রেমের কথা ভোলা যায় না। তাই ফের আমি ওর কথায় গলে যাই। স্বামীর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে বাপের বাড়ি চলে এসে মুজিবরকে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। সালমা বলেন, ফের আমাদের দুরন্ত গতিতে প্রেম শুরু হয়। ওর প্রয়োজনে টাকা, সোনা মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা দিই। এখন আমাকে শেষ করে দিয়ে আর কোনও পাত্তা দিচ্ছে না। সেজন্যই এই ধরনা।

তনুপ ঘোষ: 'স্থানীয় সংবাদ'-এর সাংবাদিক। ক্ষীরপাই শহরে(পশ্চিম মেদিনীপুর) বাড়ি। চন্দ্রকোণা থানা এলাকার যে কোনও খবরের জন্য আমাকে কল করতে পারেন। •মো: 9153931055/9732784129/9732738015 •ইমেল: ss.ghatal@gmail.com