তৃপ্তি পাল কর্মকার, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: রাজ্যজুড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, বিপর্যয় মোকাবিলা এবং বিভিন্ন সরকারি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে মাটি তোলার পদ্ধতিতে বড়সড় বদল আনল প্রশাসন। এখন থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়ার প্রক্রিয়া এবং নজরদারির কাজ তিন দিনের মধ্যে করতে হবে। সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, জরুরি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বা ব্যক্তিগত ব্যবহারের প্রয়োজনে মাটি কাটার জন্য বিএলআরও, বিডিও বা এসডিএলএন্ডএলআরও অফিসে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে যে নথিগুলো জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক, সেগুলি হল: •যে জমি থেকে মাটি কাটা হবে তার বিবরণ এবং জমির মালিকের সম্মতি পত্র। •মাটি যেখানে ফেলা হবে, সেই জায়গার বিস্তারিত তথ্য। •মাটি পরিবহনের রুট ম্যাপ এবং ব্যবহৃত গাড়ির বিবরণ। •জমির মৌলিক চরিত্র পরিবর্তন করা হবে না—এই মর্মে একটি ঘোষণাপত্র। রাস্তা ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত বা পুরসভার অনাপত্তি পত্র।আবেদন জমা পড়ার পর আধিকারিকরা নির্দিষ্ট জমিটি পরিদর্শন করবেন। এক্ষেত্রে জমির অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ (Latitude-Longitude) সহ ছবি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সাইটটি মাটি কাটার উপযুক্ত বলে বিবেচিত হলে, নির্দিষ্ট ফি জমা দেওয়ার পর গাড়ির নম্বর উল্লেখসহ অনুমতি দেওয়া হবে। মাটি কাটার পুরো প্রক্রিয়াটি বিএলআরও অফিস এবং ব্লক স্তরের ল্যান্ড সার্ভিস মনিটরিং কমিটি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসকের নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, . কোনোভাবেই জমির চরিত্র বদল করা যাবে না। মাটি পরিবহণের ফলে রাস্তার কোনও ক্ষতি হলে তার মেরামতির দায়ভার আবেদনকারীর ওপর থাকবে। নিয়মিতভাবে তোলা মাটির পরিমাণ পরিমাপ করা হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ রাখতে এবং দ্রুত সম্পন্ন করতে প্রশাসনিক স্তরে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে উন্নয়নমূলক কাজগুলো আরও গতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারি কাজে মাটি কাটার জটিলতা দূর করতে নয়া নির্দেশিকা; ৩ দিনেই মিলবে অনুমতি




