এইরকম পরিস্থিতি দেখে সাগরবাবুর ভাইঝি প্রীতি সাঁতরা, বোন অন্নেষা এবং কাকিমা মৌসুমি আদকের সঙ্গে তর্কাতর্কি বাকবিতণ্ডা শুরু হয় হিজড়েদের সাথে। প্রীতিদেবী বলেন, যদি আমাদের সাধ্যমত দেওয়া টাকা নেন তো ভালো নাহলে চলে যান।প্রয়োজনে আমরা থানায় ফোন করতে বাধ্য হব। আমরা এত টাকা দিতে পারব না। উল্টোদিক থেকে প্রত্যুত্তর আসে, না এত কম টাকা আমরা নিই না। আর থানার ভয় দেখাবেন না। পুলিশের কাছে আমরা পারমিশন নিয়ে এসেছি। প্রীতিদেবী বলেন, শেষমেশ যখন কোনও কথাই শুনেছে না তখন আমরা আমাদের স্থানীয় ‘হিজড়ে অত্যাচার বিরোধী কমিটিকে’ ডাকার জন্য উদ্যোগ নিতেই দেখি হিজড়েরা ঢোল গুটিয়ে খালি হাতেই পালিয়ে যায়।
প্রীতিদেবী বলেন, এই লকডাউনে কী অবস্থায় সংসার চলছে তা একমাত্র আমরাই বুঝি। তারওপর দুটো বাচ্চার খাবার থেকে ওষুধের যোগান দিতে হিমসিম খাচ্ছি। সেখানে আমরা ওই তোলাবাজদের টাকা দেব কেন? ওই টাকায় মা এবং বাচ্চাদের খাবার খাওয়ানো অনেক ভালো। তাতে ওরা সুস্থ থাকবে।বাচ্চা নাচাতে এসে হিজড়েরা হাজার হাজার টাকা দাবি করে গৃহস্থকে ব্যতিব্যস্ত করার ঘটনা এখন হামেশাই দেখা যায়।গৃহস্থের বাড়ির লোক পারুক বা না পারুক হিজড়েদের দাবিমত টাকা পয়সা, কাপড়চোপড়, জিনিসপত্র না দিলেই অকথ্য ভাষায় গালাগালি, অভিশাপ দেওয়াটা যেন হিজড়েদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
সাগরবাবুর বাড়ির লোক জানান, প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই নতুন বাচ্চা হয়, আর সাথে সাথেই হিজেড়েদের দল বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয় টাকার জন্য। তাই আপনারা যদি ওদের তোলা দিতে না চান, শুধু একটু সাহস রাখুন, চোখে চোখ রেখে কথা বলুন এবং প্রয়োজনে ‘হিজড়ে অত্যাচার বিরোধী কমিটির’ সাথে ৮৯২৭৭৯৩৬০০ এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন। দেখবেন ওরা কেটে পড়েছে। কারণ আইন ওদের জোর করে তোলা তোলার জন্য কোন লাইসেন্স দেয়নি। জনসাধারণের বক্তব্য যে ওরাও মানুষ। তাই তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার নিয়ে কিছু বলার নেই। প্রয়োজনে ওরা সরকারের কাছে কাজের দাবি জানাক। কিন্ত এই তোলাবাজির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হিজড়েরা বাড়িতে গিয়ে এইভাবে জোরজুলুম করলে আপনারা ৮৯২৭৭৯৩৬০০ এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন, কিছু না কিছু সহযোগিতা পাওয়া যাবে।