রাজ্য সরকারের প্রশংসায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের আন্দোলনকারীরা

মন্দিরা মাজি: রাজ্য সরকারের প্রকারন্তে প্রশংসাই করল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি। রাজ্য সরকার বিগত কয়েক বছরে কয়েকশ’ কোটি টাকা দিয়ে ঘাটাল মহকুমায় কয়েকটি খাল সংস্কারের কাজে হাত দেওয়ায় খুশি ওই কমিটি। যদিও ওই কমিটির পাল্টা দাবি, তাদের আন্দোলনের ফলেই ওই সমস্ত খাল কাটার কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। তা না হলে এই খাল সংস্কারের কাজও বাস্তবায়িত হত না।
ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের অন্তর্গত দুর্বাচটি, ক্ষীরাই- বাকসী, নিউ কাঁসাই, চন্দ্রেশ্বর,গোমরাই, পায়রাশি প্রভৃতি নদী ও খালগুলির রাজ্য সেচ দপ্তরের অর্থে চলতি বছরে সংস্কারের কাজ চলছে। ফলস্বরূপ দুই মেদিনীপুর জেলার ৫ টি ব্লকে বন্যার প্রকোপ অনেকটা কমবে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত। ওই কমিটির কর্মকর্তারা বলেন, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি  ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করার জন্য দীর্ঘ দিন  ধরে আন্দোলন করে আসছে।  কিন্তু ওই কেন্দ্রীয়  সরকার ওই প্রকল্পে অর্থ মঞ্জুর করেনি। তবে রাজ্য সেচ দপ্তরের বাজেটের টাকায় গত ২০১৮ সালে ৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পলাশপাই খাল সংস্কার হয়েছিল। পরবর্তী ধাপে ২০২০ সালে সাড়ে ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ দুর্বাচটী ও ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ নিউ কাঁসাই (নিম্নাংশ) নদী এবং প্রায় ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্ষীরাই-বাকসী বেসিন স্কিমের অন্তর্গত খাল ও ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ চন্দ্রেশ্বর ও ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পায়রাশি, ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ গোমরাই খালগুলির প্রায় ২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্তমানে জোর কদমে সংস্কারের কাজ চলছে। কংসাবতী সংলগ্ন উপরোক্ত নদী ও খালগুলি পূর্ণ সংস্কারের কারণে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, ময়না এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-১ ও দাসপুর-২ ব্লকের এলাকায় বন্যা সমস্যা অনেকটা কমবে বলে সেচ দপ্তর সূত্রের খবর। স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, বন্যার প্রকোপ কমার পাশাপাশি রূপনারায়ণের জলে এলাকার ধান, ফুল, সব্জি চাষেরও প্রভূত উপকার হবে।
রাজ্য সরকার অর্থ বরাদ্দ করলেও খাল খননের কাজ শুরু করার পেছনে ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি’রই মুখ্য ভূমিকা রয়েছে বলে ওই কমিটি মনে করে। কমিটির দাবি, তারা দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে এই আন্দোলন না করলে এই খাল সংস্কারের কাজটিও হত না। তাই  মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়নচন্দ্র নায়ক ও দেবাশিস মাইতি নদী ও খাল সংস্কারের ওই কাজকে ‘আন্দোলনের আংশিক জয়’ বলে অভিহিত করে বলেন, স্কিমটির পূর্ণাঙ্গ রূপায়ণ যতদিন না হচ্ছে ততদিন ধাপে ধাপে নিকাশী নদী ও খালগুলি পূর্ণ সংস্কার করতে হবে। পরবর্তী ধাপে শিলাবতী নদী খনন ও ওই সংলগ্ন কেঠিয়া নদী ও তার শাখা খালগুলি সংস্কার ও চন্দ্রেশ্বর খালকে শিলাবতী নদীর সাথে যুক্ত করার দাবি সম্প্রতি সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের নিকট জানানো হয়েছে।
👆 আমাদের ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলটি লাইক করুন

মন্দিরা মাজি: •‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সাংবাদিক। ঘাটাল মহকুমার যেকোনও খবর আমাকে সরাসরি পাঠাতে পারেন। মো: 9933998177/ 9732738015