জগন্নাথবাবু প্রায় ২৫ বছর দলের জেলা সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি এআইসিসি সদস্য ছিলেন। দাপুটে এই নেতা সিপিএমের আমলে বেশ কয়েকবার আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু দল ছাড়েননি। কংগ্রেসের প্রতি আস্থা হারিয়ে বিজেপিতে যোগদান প্রথমের দিকে একটু আলোচনার বিষয় ছিল মানুষের কাছে। কিন্তু বিজেপিতে জগন্নাথবাবু সেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না। এমনকী নিজের ওয়ার্ডেও গুরুত্ব ছিল না গত এক বছরে। ১৪ নাম্বার ওয়ার্ডের বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও তিনি ছিলেন না। তাঁর পাশে ছিলেন কয়েকজন পুরানো অনুগামীরাও। বিগত কয়েকদিনে তিনি প্রায়ই অনুগামীদের কাছে তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে জানা গিয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে। দলে তিনি না থাকায় আর এক নেতা অশোক সেনগুপ্তর উত্থান হয়েছে। অশোকবাবুর সাথে পুরানো গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সবাই জানেন। ফের জগন্নাথবাবু দলে ফিরে এলে দ্বন্দ্ব শুরু হবে, নাকি সহাবস্থান হবে তা সময়ই বলবে। জগন্নাথবাবুর পুত্র কৌশিক গোস্বামীকে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি, তবে সম্ভাবনা আছে। গত এক বছরে বিজেপিতে কেমন লাগলো? এর উত্তরে কৌশিকবাবু ঘুরিয়ে উত্তর দেন, কংগ্রেস একটা পরিবার। এখনও পর্যন্ত তিনি বিজেপির দুটো মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। সক্রিয়ভাবে তাকে বিজেপিতে দেখা যায়নি। জগন্নাথবাবু কংগ্রেসে আসতে চাইলে কংগ্রেসের দলীয় নিয়ম মেনে তাঁকে আসতে হবে বলে দলীয়সূত্রে জানা গেছে।