কালীপুজোর চাঁদা: এক কিলোমিটার যেতে বাঁশের ঘেরাটোপে দাঁড়াতে হয় একাধিকবার

মনসারাম কর: কালীপুজোর চাঁদা চেয়ে নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে পথে বাঁশ হাতে কচি-কাঁচার দল। প্রতি কিলোমিটার রাস্তায় বাঁশের ঘেরাটোপে একাধিকবার আটকে পড়ছে গাড়ির চাকা। ব্যস্ত জীবনের মাঝে এযেন এক বড় সমস্যা। তবে শুধু ছোটরাই নয় বড়দের ক্ষেত্রেও জুলুম করে করে চাঁদা আদায়ের নজিরও রয়েছে ঘাটাল মহকুমায়। অনেক সময় চাঁদা আদায় নিয়ে বচসা থেকে হাতাহাতিও হতে দেখা গেছে। ঘাটালের মানুষ বলছেন, পুজোর আগের কটাদিন কাজের তাগিদে রাস্তায় বেরিয়ে প্রতি বছরই খুব সমস্যায় পড়তে হয়। চাহিদা মত চাঁদা দিতে না পারলে কেউ কুরুচিকর মন্তব্য করে আবার কাউকে বাঁশের ঘেরাটোপে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সব থেকে দৃষ্টিকটু হল রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদা আদায়কারীদের হাতে অনেক সময় ডাং-লাঠি দেখা যায়। সাহায্য চাইতে এসব অস্ত্র হাতে থাকা জুলুমবাজির নজির ও সংস্কৃতি বিরোধী।
অনেকের মতে দুই বা পাঁচ বা দশ টাকা চাঁদা দিতে হয়ত অসুবিধা নেই কিন্তু ব্যস্ত জীবনে নিজে বা পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আস-যাওয়ার পথে বার বার দাঁড়ানো একটা অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি করে। সাথে পরিবারের কেউ থাকলেও বিরক্তি প্রকাশ পায় তার মধ্যেও। কালীপুজোকে কেন্দ্র করে গোটা ঘাটাল মহকুমার চাঁদা আদায়ের ছবিটা প্রায় একই থাকে। এ বছর করোনাকালেও সেই ছবিতা কম বেশি একই। ঘাটালের মানুষের একাংশের মতে ছোটদের ক্ষেত্রে রাস্তায় দাঁড়িয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে নজরদিক তাদের অভিভাবকরা। আর বড়দের জোরকরে চাঁদা আদায়ের পেছনে কোনও রাজনৈতিক দাদার মদত না থাকাটাই শ্রেয়।

নিউজ ডেস্ক: ‘স্থানীয় সংবাদ’ •ঘাটাল •পশ্চিম মেদিনীপুর-৭২১২১২ •ইমেল: ss.ghatal@gmail.com •হোয়াটসঅ্যাপ: 9933998177/9732738015/9932953367/ 9434243732 আমাদের এই নিউজ পোর্টালটি ছাড়াও ‘স্থানীয় সংবাদ’ নামে একটি সংবাদপত্র, MyGhatal মোবাইল অ্যাপ এবং https://www.youtube.com/SthaniyaSambad ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে।