মঞ্চ থেকে দেওয়া এক ঘেঁয়েমি বক্তৃতা কার শুনতে ভালো লাগে?

স্থানীয় সংবাদ: সময় বদলেছে, বদলেছে মানুষের রুচি। মানুষের হাতে খুব একটা সময় নেই অকারণে গ্যাঁট হয়ে বসে থাকার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুতে বদল এলেও বদল আসেনি কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথিদের বক্তৃতার ক্ষেত্রে। এক একজন যে কতবড় বলিয়ে কইয়ে, সেটা প্রমাণ করার বিষয়েই মগ্ন থাকেন তাঁরা। এবং এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে আসার মানসিকতাও তাঁদের নেই। বক্তব্যের প্রথম ৩০ সেকেন্ডে যেখানে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে নিতে হয়, সেক্ষেত্রে ঘাটাল মহকুমায় এমন বক্তৃতা চলে, যেখানে প্রথম ৫ মিনিট ধরে মঞ্চে ডাইনে বাঁয়ে কে কোথায় বসে আছে তার লিষ্ট ধরে ধরে নমোতুষ্টি এবং পদতুষ্টি আর উপযুক্ত সম্ভাষণ করতে করতেই সময় চলে যায় মিনিট পাঁচেক। আর তারপর শুরু হয় কে কত বড় বলিয়ে কইয়ে তার প্রতিযোগিতা। এমনও দেখতে হয়, বক্তৃতার চোটে মুখের দু সাইড থেকে ফেনা বেরিয়ে আসছে, সেই ফেনা মুছে আবার চলছে বক্তৃতা। থামবার নাম নেই। এদিকে দর্শকআসনে যাঁরা বসে থাকতে বাধ্য হন, তাঁরা যে কতখানি বিরক্তিকর অবস্থায় থাকেন, সেই সামান্য বোধটুকু যদি অতিথিদের মধ্যে থাকত, তাহলে তাঁরা দু মিনিটে বক্তব্য শেষ করতেন। একটা মঞ্চে যদি ১০ জন অতিথি থাকেন, তাহলে অন্তত, আড়াই ঘন্টার বোরিং সময় কাটাতে হয়। অতিথিদের না হয় চেতনা নেই, চেতনা কি উদ্যোক্তাদের মধ্যেও নেই। তাঁরা কি বক্তৃতার সময়সীমা দু মিনিটের মধ্যে বেঁধে দিতে পারেন না?
[‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন]

তৃপ্তি পাল কর্মকার: আমার প্রতিবেদনের সব কিছু আগ্রহ, উৎসাহ ঘাটাল মহকুমাকে ঘিরে... •ইমেল: ghatal1947@gmail.com •মো: 9933066200 •ফেসবুক: https://www.facebook.com/triptighatal •মোবাইল অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.myghatal.eportal&hl=en ইউটিউব: https://www.youtube.com/c/SthaniyaSambad