ময়না মডেলে বড় মাছ চাষের শুভ সূচনা হল দাসপুরের জয়রামচকে

নিজস্ব সংবাদদাতা: স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে দাসপুর-২  ব্লকের জয়রামচক গ্রামের সিদ্ধার্থ, অলোক, প্রভাকরের মতো আরও প্রায় ৩০ জন যুবকের। ওই গ্রামের বেশ কয়েক একর কৃষির অযোগ্য জমি জমির মালিকদের থেকে লিজে নিয়ে স্থানীয় পলাশপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পের সহযোগিতায় এবং  ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় তাঁরা তৈরি করেছিলেন এক মাছের ভেড়ি। উদ্দেশ্য ছিল স্বনির্ভর হয়ে এলাকার আরও কিছু মানুষের কর্মসংস্থান করা।

বর্তমান সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল পশ্চিম বঙ্গ মৎস্য কল্যাণ দপ্তর। জেলার সহ মৎস্য অধিকর্তা পিয়াল সর্দার আজ ২০ সেপ্টেম্বর জয়রামচকের সেই মাছের ভেড়িতে প্রায় ২৪ হাজার ওজনের চারা মাছ নিয়ে হাজির হ’ন। প্রত্যেকটি মাছের ওজন ছিল ১৫০গ্রামের আসেপাশে। ওই বিশেষ অনুষ্ঠানে মৎস্য দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দাসপুরে বিধায়ক মমতা ভুঁইঞা, দাসপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি আশিস হুদাইত প্রমুখ। পিয়ালবাবু জানান, জয়রামচকের এই মাছের ভেড়িকে তাঁরা আদর্শ ময়না মডেলের মাছ চাষের ক্ষেত্র হিসাবে তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই হিসেবেই ভেড়িটিকে নির্বাচিত করা হয়েছে।

ওই ভেড়িতে উৎপাদিত হবে বড় মাছ। সহকারি মৎস অধিকর্তা পিয়ালবাবু বলেন,বড় মাছ উৎপাদনে আমাদের রাজ্য যথেষ্ট পিছিয়ে, তাই রাজ্য মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগেই রাজ্যের কিছু কিছু মাছের ভেড়িকে এই প্রকল্পের অধীনে এনে বড় মাছের উৎপাদনে সাহায্য করা হচ্ছে। বিধায়ক মমতা ভুঁইঞা জানান, রাজ্য সরকারের মৎস্য দপ্তরের সাহায্যে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না এখন বড় মাছ উৎপাদনে আদর্শ মডেল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সেই ময়না মডেলেই জয়রাম চকে এখন থেকে মাছ চাষ হবে৷ মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই এই দেড়শো গ্রাম ওজনের মাছগুলি দেড় কেজি ওজন ছাড়াবে।

আর এর জেরেই সেদিনের দেখা স্বপ্নের বাস্তব রূপ দেখতে শুরু করেছেন এই ভেড়ির অন্যতম সদস্য সিদ্ধার্থ মাইতি। তিনি বলেন, ইতি মধ্যেই প্রায় ১০০ জন এলাকাবাসী এখানে কাজ পাচ্ছেন। উৎপাদন বাড়ার সাথে সাথে এলাকার আরও অনেকের কর্ম সংস্থান হবে,কৃষির অযোগ্য এই জমির মালিকরা পাবে তাদের প্রাপ্য অর্থ।

সৌমেন মিশ্র: পাঠকের কাছে তথ্য ভিত্তিক সত্য সংবাদ পৌঁছে দেওয়াই আমার দায়িত্ব। মোবাইল-৯৯৩২৯৫৩৩৬৭