অনেকেই এই সুস্থ আবেদনকে মান্যতা দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। বেশিরভাগই হোমকোয়ারেন্টাইনের কথা শুনলেই চোখ রাঙিয়ে বলতে শুরু করেছেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার মতো তাঁদের পর্যাপ্ত রুম নেই। আবার কেউ জানাচ্ছেন, তাঁর করোনা নেই। এনিয়ে তাঁরা আবার এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে যাচ্ছেন।
তবে সবাই যে এরকম তা কিন্তু নন। পরিযায়ী স্বর্ণ শিল্পীদের হোম কোয়ারেন্টাইন করে রাখতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে দাসপুর-২ ব্লকের গোমকপোতা গ্রামবাসীরা। প্রশাসনের নির্দেশ ছিল, যে সকল স্বর্ণ শিল্পীরা বিদেশ থেকে ঘরে ফিরবেন তাঁদেরকে নিজস্ব বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য থেকে আলাদা ভাবে কাটাতে হবে। যেমন কথা ঠিক তেমনি কাজ। তারই উদ্যোগ দেখা গেল গোমকপোতা গ্রামের ভবতারণ করণের পুত্র মিলনকান্তি করণের বেলায়। তাঁদের বাড়ি থেকে আলাদাভাবে রাখা হল এইভাবে কুড়ে ঘর তৈরি করে। অপরদিকে যখন পবিত্র ভৌমিক দিল্লি থেকে বাড়ি আসার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছেন তখন তাঁর আলাদাভাবে থাকার জন্য তাঁর পিতা এবং পুত্র এরকম কোয়ারেন্টাইন কুঁড়েঘর নির্মাণে ব্যস্ত।
ঘাটালের মহকুমা শাসক অসীম পাল বলেন, আসলে নিজে থেকে মানুষ যদি সচেতন না হন তাহলে কিছু করার নেই। নিজের, পরিবার এবং এলাকার সবার স্বার্থেই অন্তত ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা উচিত। কিন্তু কে মানে কার কথা!