নোটা বিকল্পটি ভারতে প্রথম চারটি রাজ্যে (ছত্তিশগড়, মিজোরাম, রাজস্থান এবং মধ্য প্রদেশ) এবং দিল্লির কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে অনুষ্ঠিত ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহৃত হয়েছিল।সাড়াও মিলেছিল
বেশ।
একুশের নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে নোটায় ভোট পড়ার সংখ্যা প্রায় রেকর্ড। এমন বেশ কিছু জায়গায় দেখা গিয়েছে জয়ী প্রার্থী যে ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন তার চেয়ে অনেক বেশি ভোট পড়েছে নোটাতে। ২রা মে ভোটের ফল প্রকাশের পর ঘাটাল বিধানসভায় দেখা গেল ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা শীতল কপাট নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের প্রার্থী শংকর দোলাই কে হারিয়েছেন মাত্র ৯৬৬ভোটে আর সেখানে নোটাতে ভোট পড়েছে১৩০৫টি,যা একুশের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ঘাটাল বিধানসভায় একজন প্রার্থীর(নির্দল) চেয়ে অনেকটাই বেশি।
চন্দ্রকোনা বিধানসভার ক্ষেত্রে ও সংখ্যাটি বেশ চমকপ্রদ।এই বিধানসভা ক্ষেত্রে জোট প্রার্থী এবং নির্দল প্রার্থী এককভাবে যতটা ভোট আদায় করতে পেরেছেন তার চেয়ে কয়েকশ গুণ বেশি ভোট পেয়েছে নোটা। চন্দ্রকোনা বিধানসভায় নোটায় ভোটের সংখ্যা২৯০৬।
সংখ্যার নিরিখে নোটায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে মেদিনীপুর সদর বিধানসভায়, সংখ্যাটি ৩৯২৪ এর পরেই রয়েছে কেশপুর বিধানসভা যেখানে নোটায় পড়া ভোটের সংখ্যা হল ৩২৯৮।
সূচনা হওয়ার পরথেকেই নোটা ভারতীয় ভোটারদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, অনেক সময় বিজয়ের ব্যবধানের চেয়ে বেশি ভোট অর্জন করেছে এমন উদাহরণও আছে।২০১৪ সালের রাজ্যসভা নির্বাচনেও নোটার প্রচলন হয়েছিল। অবাক করা হলেও রাজ্যসভার নির্বাচনে নোটার ঘর শূন্য থাকেনা। নোটার শ্রীবৃদ্ধিতে রাজনৈতিক নেতারা যতই বলুক কিছু মানুষ ভুলবশত এই বিকল্পটি ব্যবহার করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে নোটাতে উত্তরোত্তর ভোট বৃদ্ধি পাওয়ার ব্যাপারটিতে একটি বিষয়ে অন্তত স্পষ্ট হয় যে ভারতীয় নাগরিকগন স্বাধীনভাবে তাদের মত প্রকাশ করতে ক্রমশ অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। এবং তাদের প্রতিবাদের ভাষা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। 👆 আমাদের ফেসবুক পেজএবংইউটিউব চ্যানেলটিলাইক করুন। প্রতি মুহূর্তে ঘাটাল মহকুমার খবর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম নিউজ গ্রুপেও যোগদান করতে পারেন।লিঙ্ক: https://t.me/SthaniyaSambadGhatal ওখানে যোগদান করলে আপনার মোবাইল নম্বর গ্রুপের অন্য কেউ জানতে পারবেন না।