কুমারেশবাবু বলেন, আজ তিনি বাইরের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন,সেই সময় মনশুকা চাতালের কাছে কয়েক জন দুষ্কৃতী তারা এলাকায় শঙ্করবাবুর অনুগামী হিসেবে পরিচিত, তারা আমাকে আটকে বেধড়ক মারতে শুরু করে। মারতে মারতে বলে, তোদের স্থানীয় সংবাদ কেন শঙ্কর দোলইয়ের বিরুদ্ধে খবর করে? তোকে আজই শেষ করে দেওয়া হবে। বেশ কিছুক্ষণ মারধরের পর কুমারেশবাবু কোনও রকমে হাত ছিটকে পালিয়ে আসেন। তাঁর বাইকটিও ভাঙচুর করা হয়। রাতেই কুমারেশবাবু ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য যান। সাংবাদিকের উপর হামলার খবর পেয়ে রাতেই ঘাটাল থানার ওসি দেবাংশু ভৌমিক পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাস্থলটি রাতেই পরিদর্শন করেন। ঘাটাল থানার পুলিশ জানিয়েছে, রাতেই এক জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তরা এলাকা থেকে পলাতক। তাদের তল্লাশি চলছে।
যদিও শঙ্করবাবু এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, আমি ঘটনাটি সম্বন্ধে কিছুই জানি না। এই ঘটনার সঙ্গে যদি কেউ যুক্ত থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা করা হবে।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে স্থানীয় সংবাদের ডিজিট্যাল মিডিয়ায় শঙ্করবাবুর সঙ্গে মনশুকা–২ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান পুতুল পাত্রের একটি কল রেকর্ডিং ভাইরাল করার পাশাপাশি প্রধানের সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল। যে সাক্ষাৎকারে পুতুলদেবী শঙ্করবাবুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই সংবাদটির ফলেই শঙ্করবাবুর অনুগামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে যান বলে জানা গিয়েছে। •সেই ভিডিও 👇