কেন বারবার ডাক পড়ছে বনদপ্তরের? সচেতনতা বৃদ্ধি না সর্পকুলের বংশবৃদ্ধি?

নিজস্ব সংবাদদাতা:সাপের উপদ্রব বাড়ছে, নাকি বাড়ছে সচেতনতা? এখন সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই দেখা যায় ঘাটাল মহকুমার কোথাও না কোথাও বনদপ্তরের প্রতিনিধিদের ডেকে এলাকায় পাওয়া বিষধর সাপটিকে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত সাপকে মেরে দেওয়ার ঘটনা আকছার ঘটত। বর্তমানে কিন্তু সাপকে ঠেঙিয়ে মারার ঘটনা খুবই বিরল।
আজ ১৬ জুন মঙ্গলবার সাত সকালেই ঘাটাল মহকুমার বেশ কয়েক জায়গা থেকে উদ্ধার হল কয়েকটি বিষধর সাপ। দাসপুর-২ ব্লকের ইসবপুরে অনুপ মণ্ডল মাছ ধরার জন্য মাঠে ঘুনি দিয়েছিলেন। সকালে গিয়ে দেখা যায় ঘুনির মধ্যে একটি গোখুরো সাপ। আতঙ্কে সাপটি দেখে না মেরে তিনি বনদপ্তরে খবর দেন। (বক্তব্য)
অন্যদিকে চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের বৈকন্ঠপুর গ্রামে মাছ ধরার জালে আটকা পড়ে বিশাল আকারের গোখুরো সাপ। প্রায় ৮ ফুট লম্বা সাপটিকে দেখে বনদপ্তরে খবর দেওয়া হলে সুলতাননগর বিটের বনদপ্তরের কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বনদপ্তরের রিকভারি টিমের সদস্য মলয় ঘোষ বলেন, সাপটির শারীরিক পরীক্ষার পর গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেক দিনই এত সাপ দেখা যাচ্ছে কেন? সাপের সংখ্যা সত্যিই কি বেড়েছে?
সাপ, সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা নিয়ে ধারাবাহিক সচেতনতা মূলক প্রচার করে আসছেন দাসপুর-২ ব্লকের গোমকপতা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রতবুড়াই। এবিষয়ে তিনি কী বলেন, মানুষের সচেতনতার জন্যই মানুষ সাপকে আর মারছেন না। বন দপ্তরের হাতে তুলে দিচ্ছেন।

তৃপ্তি পাল কর্মকার: আমার প্রতিবেদনের সব কিছু আগ্রহ, উৎসাহ ঘাটাল মহকুমাকে ঘিরে... •ইমেল: ghatal1947@gmail.com •মো: 9933066200 •ফেসবুক: https://www.facebook.com/triptighatal •মোবাইল অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.myghatal.eportal&hl=en ইউটিউব: https://www.youtube.com/c/SthaniyaSambad