‘কিছু কু-মনোভাবের শিক্ষক এই সমাজটাকে কলুষিত করছেন’—দেবেন্দ্রনাথ ঘোষ

ছবিটি প্রতীকী। এই প্রতিবেদনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়

দেবেন্দ্রনাথ ঘোষ, সুপা পুড়শুড়ি,দাসপুর[পাঠকের মতামত]:  শিক্ষক আমাদের কাছে পিতৃতুল্য। বাবা মায়ের মত আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে ছোট থেকে জ্ঞান অর্জন করে ভবিষ্যৎ জীবনে প্রতিষ্ঠিত হই। সমাজের সকল শিক্ষককে শ্রদ্ধার আসনে বসানো, তিনি সমাজের মেরুদণ্ড। সকলের কাছে আলোর দিশারী, কিন্তু দিনে দিনে কিছু কু-মনোভাবের শিক্ষক এই সমাজটাকে কলুষিত করছেন আর কলঙ্কিত হচ্ছে গোটা শিক্ষক-শিক্ষিকা মহল। [ভিডিওতে দেখুন: চাকরি পাইয়ে দেবার নামে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার দাসপুর রানিচক হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক https://youtu.be/m0bMJcql5hE]
বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতে গেলে কিছু কিছু শিক্ষক সকলের আড়ালে পড়ানো কিংবা শাস্তি দেওয়ার অছিলায় ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে। দিনে দিনে সেটা মাত্রাতিরিক্ত হয়ে শারীরিক সম্পর্ক যখন ঘনিষ্ঠতার রূপ নেয়। মেয়েটা অসহায় হয়ে পড়ে।

সে বাড়িতে বলতেও পারে না লজ্জা এবং ভয়ে। যদি তার কথা কেউ বিশ্বাস না করে, এভাবে মেয়েটাকে বেছে নিতে হয় আত্মহত্যার পথ। তারপর সেই শিক্ষকরূপী নেকড়ে আবার একটা নিষ্পাপ মেয়ের ওপর তার লালসার থাবাবসায়। এই ভাবেই এই সব দুর্ঘটনা মিডিয়ার মাধ্যমে জনসমক্ষে ক্রমশ প্রকাশ্য হওয়ার সুবাদে বাড়ির অভিভাবক অভিভাবিকা গৃহশিক্ষককে সন্দেহ করেন। তাঁরা তার বাড়ির ছেলে-মেয়েদের পড়ানোর সময় সেখানে হয় উপস্থিত থাকেন। অথবা সেই ঘরে গোপনে সিসি টিভি ক্যামেরার

মাধ্যমে নজর রাখেন। কিন্তু এর ফলে শিক্ষকের শিক্ষাদান এবং শিক্ষার্থীর শিক্ষা গ্রহণে যথেষ্ট ব্যাঘাত ঘটছে। তারা বন্দি হয়ে থাকছে বাড়ির অভিভাবকদের কাছে। শিক্ষার্থী তার সমস্যার কথা প্রকাশ করতে সংকোচ করছে কিন্তু, প্রশ্ন কঠিন সমস্যার সমাধান হবে কবে? আবার অভিভাবক অভিভাবিকা মুক্তমনে গৃহশিক্ষক রেখে বাড়ির ছেলে মেয়ের শিক্ষার ধারাকে প্রবাহিত করবে কবে? শিক্ষক কবে বাড়ির সবার কাছে নজর মুক্ত হবে?কে জানে, এইসব প্রশ্ন কবে দূর হবে এই সমাজ তথা আমাদের মন থেকে সবার কাছে আজও অজানা। শিক্ষকই বা কবে সন্তান স্নেহে মুক্তমনে শিক্ষাদান করবে অপেক্ষায় রইলাম আপনি-আমি সকলেই।

অতিথি সাংবাদিক: আপনিও ঘাটাল মহকুমার যে কোনও খবর পাঠিয়ে আমাদের এখানে লিখতে পারেন। যোগাযোগ:9732738015 •ইমেল:ghatal1947@gmail.com