এই মুহূর্তে ক্রীড়া/অনুষ্ঠান অন্যান্য সাহিত্য সম্পাদকীয় নোটিশবোর্ড

অঙ্গনওয়াড়ির কেন্দ্রের জন্য জায়গা দিয়েও চাকরি মিলল না দাসপুরের মহিলার

Published on: September 17, 2020 । 4:34 PM

সুইটি রায়: নেতাদের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে অঙ্গনওয়াড়ির কেন্দ্র নির্মাণের জন্য জায়গা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তবুও চাকরি পেলেন না দাসপুরের এক দুঃস্থ মহিলা।তাই ওই কেন্দ্রের চাকরির জন্য মহকুমা শাসকের কাছে আবেদন জানালেন মধুমিতা জানা মাইতি নামে বেলিয়াঘাটার বাসিন্দা ওই মহিলা।  মধুমিতাদেবীর কাছ থেকে এভাবে চাকরি চাওয়ার আর্জি  মহকুমা শাসকের অফিসে জমা পড়ার পরই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন স্তরে চর্চা শুরু হয়েছে। মহকুমা শাসকের অফিসের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি খুবই হাস্যকর। স্থানীয় ভাবে নিজের প্রভাব খাটাতে কেউ কাউকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেই পারেন। সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু তাঁদের দেওয়া কথা অনুযায়ী প্রশাসনকে যদি চাকরি দিতে হয় তাহলে তো নিয়োগের পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রক্রিয়াটিই তুলে দিতে হবে।
মহকুমা শাসকের দপ্তরে জমা পড়া আবেদন থেকে জানা গিয়েছে, বেলিয়াঘাটার পূর্ব পাড়ার নতুন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেটি মধুমিতাদেবী বাবার জায়গার উপর নির্মাণ করা হয়েছে।   মধুমিতাদেবীর বাবা বেশ কিছু বছর আগেই ক্যান্সারে মারা গেছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক দলনেতারা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য ওই জমিটি নেওয়ার সময় দু’টি শর্ত দিয়েছিলেন। ওই গ্রামের তৃণমূল নেতা বৃন্দাবন প্রামাণিক বলেন, বেলিয়াঘাটার বুকে ওই জায়গাটির দাম প্রচুর। তাই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি করার সময় আমরা যখন কোনও জায়গা পাচ্ছিলাম না তখন আমরা ওই পরিবারকে কথা দিয়েছিলাম, যদি ওই জায়গাটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য দেওয়া হয় তাহলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মধুমিতাদেবীর মাকে কাজ দেওয়া হবে এবং যখন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে তখন মধুমিতাদেবীকে ওই কেন্দ্রে স্থায়ী কাজ দেওয়া হবে।
সেই কথা মতো, মধুমিতাদেবীর মাকে ওই কেন্দ্রের রান্নার কাজে লাগানো হয়েছিল এবং মহিলার চাকরি করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। বৃন্দাবনবাবু বলেন, আমরা মধুমিতাদেবীকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের স্থায়ী কাজ দেব বললেও  কিন্তু কথা ছিল যে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হবে।
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া অঙ্গনওয়াড়ি নিয়োগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইন্টারভিউও তিনি দিয়েছেন কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া ফাইনাল প্যানেলে তাঁর নাম নেই। যদিও ওই মহিলা বলেন, প্যানেলে আমার নাম আছে কিনা এখনও সঠিকভাবে জানতে পারিনি কিন্তু আমি এখনও পর্যন্ত কোনও কললেটার পাইনি। তাই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কথা বলি। ওনারাই আমাকে মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন করতে পরামর্শ দেন।
মধুমিতাদেবী বলেন, আমি জানি যে প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও এধরণের আবেদন হয়তো বা মূল্যহীন ও হাস্যকর। কিন্তু আমার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। আর যেহেতু আমি এবিষয়ে প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলাম এবং লিখিত পরীক্ষায় পাসও করেছি তার জন্যই ওই পদটি প্রার্থনা করে আমি মহকুমা শাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছি। আশা করি উনি আমার অবস্থা বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]

সুইটি রায়

'স্থানীয় সংবাদ'-এর সাংবাদিক। বাড়ি ঘাটাল শহরে(কুশপাতা ১৭ নম্বর ওয়ার্ড• পশ্চিম মেদিনীপুর)। আমার শহর ঘাটালের যে কোনও খবরই অবিকৃতভাবে সকলের সামনে তুলে ধরাতেই আমার আগ্রহ। •মো: 9732738015/9933998177 •ইমেল: [email protected]

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now