বাংলা নয়, ইংরেজির তারিখেই বিদ্যাসাগরের জন্মদিন পালন করবেন মুখ্যমন্ত্রী

দেবাশিস কর্মকার:বাংলা নয়, ইংরেজি তারিখকে গুরুত্ব দিয়েই বীরসিংহে বিদ্যাসাগরের ২০০তম জন্মদিন ঘটা করে পালন করা হবে। রাজ্যের খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটাল মহকুমা তথা সারা রাজ্যের মানুষের ভাবাবেগকে ‘গুরুত্ব’ না দিয়ে ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী বিদ্যাসাগরের জন্মদিন পালন করায় অনেকটাই আশাহত বাঙালি। কারণ, আর যাই হোক রবীন্দ্রনাথ এবং বিদ্যাসাগরের জন্ম-মৃত্যুর ক্ষেত্রে আমরা যথাক্রমে ২৫ বৈশাখ, ২২ শ্রাবণ বা ১২ আশ্বিন, ১৩ শ্রাবণ তারিখগুলিকেই মনে রাখি, ইংরেজির তারিখ নয়। ১২ আশ্বিন ধরলে এবছর বিদ্যাসাগরের জন্মদিন পড়ছে ৩০ সেপ্টেম্বর। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার হিসেব অনুযায়ী বিদ্যাসাগরের জন্মের চারদিন আগেই তথা ৮ আশ্বিন বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর)বিদ্যাসাগরের ২০০ তম জন্মদিন পালন করার জন্য বীরসিংহে আসবেন।
বাংলার গর্ব বিদ্যাসাগরকে ঘিরে ঘাটাল মহকুমাবাসীর নিখাদ আবেগ সবদিনের। বিদ্যাসাগর জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১২২৭ সালের ১২ আশ্বিন মঙ্গলবার। যেটা ইংরেজির ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০। ১২ আশ্বিন তাঁর জন্মদিনের আবহে স্বভাবতই ঘাটালবাসীর হৃদয়ে খুশির আবেশ। কারণ বীরসিংহের ওই সিংহশিশুর জন্মদিনটিকে ঘিরে সমগ্র মহকুমাবাসীর একটি গভীর ভাবাবেগ জড়িয়ে আছে। কিন্তু ওই আবেগের সুর কোথাও যেন একটা জায়গায় কেটে যায় যখন সরকারিভাবে সারা রাজ্যব্যাপী বাংলার তারিখ না মেনে ইংরেজি মাসের তারিখ ধরে বিদ্যাসাগরের জন্মদিন পালন হয়।

আর যাই হোক রবীন্দ্রনাথ এবং বিদ্যাসাগরের জন্ম-মৃত্যুর ক্ষেত্রে আমরা যথাক্রমে ২৫ বৈশাখ, ২২ শ্রাবণ বা ১২ আশ্বিন, ১৩ শ্রাবণ তারিখগুলিকেই মনে রাখি, ইংরেজির তারিখ নয়। ১২ আশ্বিন ধরলে এবছর বিদ্যাসাগরের জন্মদিন পড়ছে ৩০ সেপ্টেম্বর। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার হিসেব অনুযায়ী বিদ্যাসাগরের জন্মের চারদিন আগেই তথা ৮ আশ্বিন বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর)বিদ্যাসাগরের ২০০ তম জন্মদিন পালন করার জন্য বীরসিংহে আসবেন।

ঘাটাল মহকুমাবাসীর এই নিয়ে অনুযোগ দীর্ঘদিনের। যখন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন সরকারিভাবে বাংলা মাসের তারিখ অনুযায়ী ২৫ বৈশাখ পালিত হচ্ছে, বিদ্যাসাগরের জন্মদিনের ক্ষেত্রে কেন সেটা বাংলার তারিখ মেনে হবে না সে বিষয়ে আজও সরকারি তরফে কোনও সদুত্তর মেলেনি। বিভিন্ন সময় এই বিষয়টিকে নিয়ে সরকারকে নির্দিষ্ট বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে ঘাটালের মানুষজন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে ঘাটালবাসীর সেই অনুভূতির জায়গাটা বিদ্যাসাগরের জন্মের ২০০ বছর পরেও উপলব্ধি হল না।
ইতিমধ্যেই বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিকে ঘিরে মহকুমার পাশাপাশি জেলাস্তরের উচ্চ প্রশাসনিক মহলে আগাম তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই দিনের সমগ্র অনুষ্ঠানটিকে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে ২৭ আগস্ট বীরসিংহ ভগবতীদেবী উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্লক থেকে জেলাস্তরের প্রায় সমস্ত উচ্চস্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকরা একটি বৈঠক করেন। ওই স্কুলের টিচার-ইন-চার্জ শক্তিপদ বেরা বলেন, ওই বৈঠকে ছিলেন রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার সৌমিত্র মোহন, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক রশ্মি কমল, অতিরিক্ত জেলা শাসক প্রতিমা দাস, ঘাটালের মহকুমা শাসক অসীম পাল, ঘাটালের বিডিও অরিন্দম দাশগুপ্ত, ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই প্রমুখ ।
দীর্ঘদিন থেকেই ঘাটাল মহকুমাবাসীর বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহকে ঘিরে বেশ কিছু দাবিদাওয়া রয়েছে। বীরসিংহ বিদ্যাসাগর মোমোরিয়াল হল গ্রামীণ গ্রন্থাগারের সম্পাদক হরগোবিন্দ দোলই বলেন, ওই দীর্ঘমেয়াদি

তৃপ্তি পাল কর্মকার: আমার প্রতিবেদনের সব কিছু আগ্রহ, উৎসাহ ঘাটাল মহকুমাকে ঘিরে... •ইমেল: ghatal1947@gmail.com •মো: 9933066200 •ফেসবুক: https://www.facebook.com/triptighatal •মোবাইল অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.myghatal.eportal&hl=en ইউটিউব: https://www.youtube.com/c/SthaniyaSambad