অবিলম্বে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে অর্থ বরাদ্দের দাবিতে বানভাসিদের নিয়ে ঘাটালে পদযাত্রা

জগদীশ মণ্ডল অধিকারী, অতিথি সাংবাদিক, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: বহুচর্চিত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে অর্থ বরাদ্দ করে আগামী বর্ষার পূর্বেই শিলাবতী নদী এলাকায় কাজ শুরুর দাবিতে বরদা চৌকান থেকে ঘাটাল পর্যন্ত পদযাত্রায় সামিল হলেন প্রায় তিন শতাধিক বানভাসি মানুষ। “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে এই পদযাত্রাটি সংগঠিত হয়। ওই কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নায়ারণ নায়েক এবং দেবাশিস মাইতি বলেন, গত বর্ষায় ঘাটাল মহকুমার বিরাট অংশ ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছিল। ঘরবাড়ি- ফসলের ক্ষতি- এমনকি কয়েকজনের প্রাণহানিও ঘটেছিল। এবারকার বন্যার ভয়াবহতা লক্ষ্য করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও হেলিকপ্টার চড়ে এসেছিলেন ঘাটালে। এসেছিলেন সেচ ও জলপথ দপ্তরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জল সম্পদ অনুসন্ধান দপ্তরের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূইয়া,সেচ দপ্তরের প্রধান সচিব। এমনকি দিল্লির টিমও এলাকা পরিদর্শনে আসতে বাধ্য হয়ে হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, এলাকাবাসীর দাবিমত রাজ্য সরকার দুই সেচ দপ্তরের মন্ত্রী সহ আরো কয়েকজন জনপ্রতিনিধিকে দিল্লি পাঠাতে বাধ্য হয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় জলসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রীর সাথে কথা বলতে।
নারায়ণবাবু বলেন, আশ্চর্যের বিষয়, এতদসত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ মঞ্জুর করার বিষয়ে এখনো কোন উচ্চ-বাচ্য করছেন না। এমতাবস্থায় উপরোক্ত দাবিতে আন্দোলনকে তীব্রতর করতে আমরা “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি” আজ ২২ নভেম্বর বরদা চৌকান থেকে ঘাটাল পর্যন্ত পদযাত্রার কর্মসূচি নিই। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন কমিটির সভাপতি ডাঃ বিকাশ চন্দ্র হাজরা, সহকারী সভাপতি সত্য সাধন চক্রবর্তী প্রমুখ। পদযাত্রীদের সম্বর্ধনা জানান ঘাটালের বিশিষ্ট নাগরিক প্রাক্তন অধ্যাপক প্রণব হড় ।
নারায়নবাবু ও দেবাশিসবাবু বলেন, আমরা নভেম্বর মাসের মধ্যে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের সাথে দেখা করবো। শীঘ্রই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!