বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবার দুর্ঘটনা!স্বামী ও মেয়ের মৃত্যুর সাক্ষী হলেন মা

চন্দ্রকোণার জয়ন্তীপুরের বাস দুর্ঘটনায় উঠে এল এক মর্মান্তিক ঘটনা।
এই দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছে দ্বিতীয় বর্ষের মেডিক্যালের ছাত্রী অন্তরা সামন্ত।তার মা চন্দ্রলেখা সামন্ত এখনও ঘাটাল হাসপাতালে। দু চোখ বেয়ে বইছে মৃত্যু শোকের অশ্রু জল! মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী মেয়ে অন্তরা ছুটি কাটাতে এসেছিল বাড়ি।

চন্দ্রকোণার জয়ন্তীপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা! প্রাণ হারালেন বহু যাত্রী

দাদা দীঘায় জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ায় কর্মরত। দীঘায় মা ও মেয়ে কদিন বেড়িয়ে পৌঁছেযায় খড়গপুরের বিদ্যাসাগরপুরের মাসি বাড়িতে। মাসিবাড়ি থেকে আজ ভোরে মা মেয়েকে নিয়ে খড়গপুর-তারকেশ্বর ওই ঘাতক বাসেই ফিরছিল আরামবাগের বামসায় নিজেদের বাড়িতে। বাবা হরেকৃষ্ণ সামন্ত ছিলেন আরামবাগ কলেজের গনিতের অধ্যাপক।

শিশুদের মধ্যেই ভগবান লুকিয়ে,সেই শিশুদেরই খুশি করে চলেছেন দাসপুরের বাবাজি

না! মায়ের আর মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফেরা হল না! ঠিক যেমন ২০১৭ সালে নিজের স্বামীকে নিয়ে আর বাড়ি ফিরতে পারেননি চন্দ্রলেখা দেবী। সেদিন ফেরার পথে ট্রাকের সাথে তাদের বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়লে হরেকৃষ্ণ বাবু মারা যান। চোখের সামনে স্বামীকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে দেখেছিলেন চন্দ্রলেখা দেবী।

নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতের অন্ধকারে ধর্ষণ,আটক ঘাটালের এক ব্যবসায়ী

আজও বাড়ি ফেরার পথে আরামবাগমুখী তাদের বাস জয়ন্তীপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়লে, চন্দ্রলেখা দেবী চোখের সামনে হারান তাঁর মেয়েকে! ঘাটাল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের বিছানা থেকে চন্দ্রলেখা দেবী সামনের অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়েই হয়তো চোখের জল ফেলছেন!

মোবাইলে নিয়মিত খবর পড়তে এইখানে ক্লিক করুন Whatsapp

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!