ঘাটালে নদীর জলের তোড়ে ভাঙল বহু সেতু, বিচ্ছিন্ন বহু গ্রাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: দুদিনের বৃষ্টিতেই বিপর্যস্ত ঘাটাল মহকুমার কয়েকটি এলাকা। গত রাত তথা ২৭ ফেব্রুয়ারির ভোরে শিলাবতী নদীর জলের তোড়ে ভাঙল শিলারাজনগরের বাঁশের সেতু।  দাসপুর-১ ব্লকের  রসিকগঞ্জ এবং ঘাটাল ব্লকের শিলারাজনগর গ্রামের সংযোগস্থলে ওই সেতুটি ভেঙে যাওয়ার ফলে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি দিলীপকুমার মাজি বলেন, শিলাবতীর জলের তোড়ে  মোট ৬টি সেতু ভেঙেছে। ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাসচন্দ্র ঘোষ বলেন, ওই ভাঙা সেতুর বাঁশগুলি ঘাটালের ওপর দিয়েই প্রবাহিত হবে। সেটা অনুমান করেই  শিলাবতী ওপর ভাসপুলটি খুলে রাখা হয়েছিল। ভাসাপুলের কোনও ক্ষতি হয়নি। অনেক ভাসাপুল ভেসে গিয়েছে বলে প্রচার করছে তা ঠিক নয় বলে চেয়ারম্যান জানান। তবে কিছুক্ষণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন ছিল।

শিলারাজনগর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার গ্রামের সঙ্গে ঘাটালের দূরত্ব অনেকটাই। ওই সমস্ত গ্রামের বাসিন্দারা তাই ওই বাঁশের সেতুর মাধ্যমেই রসিকগঞ্জ হয়ে বেলিয়াঘাটা কিম্বা দাসপুরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রশাসন ওখানে কোনও সেতু নির্মাণ না করায় প্রতিবছর গ্রামের বাসিন্দারাই চাঁদা তুলে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করেন। এবছরও দুর্গাপুজোর পর সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে তা ভেঙে পড়ায় সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ।

বর্ষার মুখে ওই সেতু বারবার ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটলেও অকাল বৃষ্টি এর আগে কখনও এই ভাবে ভেঙে ভেসে যায়নি। আবার কী করে ওই সেতুটি নির্মাণ করা যাবে তা নিয়ে চিন্তায় এলাকার বাসিন্দারা।  ভাঙা অংশটি ফের না ভেসে যায় তার জন্য আজ ২৮ ফেব্রুয়ারির ভোর থেকে তা গুছিয়ে রাখার ব্যবস্থা করছেন স্থানীয়রা।

তবে শিলাবতী নদীতে জলের স্রোত থাকলেও বন্যা হবার কোনও সম্ভাব নেই। নদী প্রায় খালি বললেই চলে। কিন্তু তিন দিনের অকাশ বৃষ্টিতে আলু সহ সমস্ত চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!