দেবের দেওয়া কথা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি, তাই পান্তি পিসির ঠাঁই এখন স্কুল দুয়ারে

শ্রীকান্ত ভুঁইয়া, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: ভগ্নপ্রায় বাড়িতে থাকতেন দাসপুর-২ ব্লকের সোনামুইয়ের বাসিন্দা পান্তিপিসি তথা শিখা চক্রবর্তী। ২২ মে আমাদের ‘স্থানীয় সংবাদ’-এর ডিজিটাল মিডিয়ায় তাঁর বাড়­ির দুরবস্থার বিষয়টি প্রকাশিত হয়। সেই ভিডিওটির লিঙ্ক দিয়ে সোনামুইয়ের বাসিন্দা সজলকান্তি গোস্বামী ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী তথা দেবকে ট্যুইট করেন। ট্যুইটে বিষয়টি দেখার পরই দেব কথা দিয়েছিলেন পান্তিপিসির বাড়ি তৈরি করে দেবেন। সেই প্রতিশ্রুতি দেব এখনও রাখতে পারেননি। ফলে দেবের কথা শুনে মাটির বাড়ি ভেঙে দিয়ে তিনি এখন গ্রামের স্কুলের একটি পরিত্যক্ত জায়গায় সাপ-খোপের সঙ্গে সহ-অবস্থান করছেন। পান্তি পিসির প্রশ্ন, আমি তো বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য কারোর

কাছে ভিক্ষে চাইতে যাইনি। তাহলে কেন বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার নাম করে আমার পুরানো বাড়ি ভেঙে দেওয়া হল?
ঘটনাটি কী ঘটেছিল? ‘স্থানীয় সংবাদ’-এর ডিজিটাল মিডিয়ায় খবরটি প্রকাশিত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই দেবের প্রতিনিধি রামপদ মান্না পান্তি পিসির সঙ্গে দেখা করেন। ওই সময় স্থানীয় বাসিন্দা সহ ওই এলাকার তৃণমূল নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় পান্তি পিসিকে কথা দেওয়া হয় দিন পনেরো মধ্যে তাঁকে পাঁচ ইঞ্চির ইটের দেওয়াল এবং অ্যাসবেসটসের ছাউনি সহকারে একটি বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।
পান্তি পিসির বাড়ি তৈরির বিষয়ে দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁর প্রতিবেশী তথা ‘সংবাদ প্রতিদিন’ সংবাদপত্রের সাংবাদিক শ্রীকান্ত পাত্রকে। পান্তিপিসির যেহেতু অতিরিক্ত জায়গা নেই

তাই তাঁর পুরানো ওই ভগ্নপ্রায় মাটির বাড়ি ভেঙেই নতুন বাড়ি নির্মাণ করতে হবে। সেজন্য রামবাবু বাড়ি ভাঙার জন্য শ্রীকান্তবাবুর হাতে ১৫ হাজার টাকা দেন এবং সাময়িক খরচ চালানোর জন্য পান্তিপিসির হাতে পাঁচ হাজার টাকা দেন।
পান্তি পিসিকে ওই গ্রামেরই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত জায়গায় (টিন দিয়ে ঘেরা) থাকার ব্যবস্থা করে ৩০ জুন তাঁর বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়।
ইতি মধ্যেই অ্যাসবেসটসের ছাউনির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে রামবাবু বাথরুম সহ ৩২০ বর্গ ফুটের ছাদ সহ একটি বাড়ি নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু করেন। দেব টাকা দেবে এই ভরসায় ইমারতি দ্রব্যের ব্যসায়ীরাও মালপত্র সরবরাহ করতে শুরু করে দেন। কিন্তু প্রায় দেড় মাস কেটে গেল পান্তিপিসি স্কুলের সেই পরিত্যক্ত জায়গায় নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন।
পান্তি পিসি বলেন, মাঝে জেলা শাসক আমার বাড়ির জন্য এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মঞ্জুর করেছেন। তার ৬৫ হাজার টাকা হাতে পেয়েছি। ওই টাকা থেকেই মিস্ত্রি ও ইমারতি দ্রব্য বিক্রেতাদের কিছু দিয়েছি। রাজ মিস্ত্রি পবন কাণ্ডার বলেন, যে এলাকার উপর ভিত দিয়ে বাড়ি তৈরি হচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ করতে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা লাগবে। টাকা না থাকার জন্য এখন কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রীকান্তবাবু বলেন, পান্তির বাড়িটি কীকরে সম্পূর্ণ হবে তা নিয়েই উদ্বেগে রয়েছি।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!

'স্থানীয় সংবাদ'-এর সাংবাদিক। ঘাটাল মহকুমার যে কোনও খবরের জন্য আমাকে কল করতে পারেন। •মো: 9547022372/9427357237/9732738015 •ইমেল: [email protected] •মোবাইল অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.myghatal.eportal&hl=en ইউটিউব: https://www.youtube.com/c/SthaniyaSambad •ফেসবুক: https://www.facebook.com/SthaniyaSambad.Ghatal/