অষ্টমীতেই সিঁদুরখেলার নিয়ম চন্দ্রকোনার চক্রবর্তী বাড়ির পুজোতে

সুইটি রায়, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: বিজয়া দশমী নয়, মহাষ্টমীর সন্ধিপুজোর পর সিঁদুর খেলার রীতি চন্দ্রকোনা -১ এর মাণিককুণ্ডু গ্রামের চক্রবর্তী পরিবারের শতাব্দী প্রাচীন দুর্গাপুজোতে। আর এই বিশেষত্বই এই পুজোকে মহকুমার অন্যান্য প্রাচীন ও বনেদী বাড়ির পুজোগুলির থেকে আলাদা করেছে। অষ্টমীর সন্ধিপুজোর অঞ্জলির পরই পরিবারের মহিলারা মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলাতে। ২২০ বছরেও প্রাচীন এই পুজোতে অংশগ্রহণ করতে পারেন শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যরাই। শুধু তাই নয় পূজারি থেকে শুরু করে প্রতিমা শিল্পী,ঢাকি,কামার,কুমোর এমনকি দেবীর সাজের শোলার মালা সরবরাহের দায়িত্ব পালন করার রীতিও দুই শতাব্দী ধরে বংশানুক্রমে চলে আসছে। প্রাচীন পঞ্জিকার সময় মেনেই এখনও হয়ে আসছে চক্রবর্তী পরিবারের পুজো। পরিবার সূত্রে জানা যায় ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ এই পুজো শুরু হয়। শিলাবতী ও কেঠে নদীর মধ্যবর্তী গ্রাম মাণিককুণ্ডুর চক্রবর্তী পরিবারের আদি বাস ছিল বাঁকা গ্রামে। প্রকৃতপক্ষে এঁরা শাণ্ডিল্য গোত্রীয় বন্দ্যোপাধ্যায় হলেও পরবর্তীকালে বর্ধমানরাজ তেজচাঁদ বাহাদুরের আমলে ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে মাণিককুণ্ডু মৌজা সহ আশেপাশের আরও বেশ কয়েকটি গ্রামের পত্তনি লাভ করে মাণিককুণ্ডুতে বসবাস শুরু করেন এবং পরে চক্রবর্তী উপাধি প্রাপ্ত হন। এখানকার প্রতিমা সাবেকী ‘কংসনারায়ণী’ রীতির। চক্রবর্তী পরিবারের কুলদেবতা ‘রাজরাজেশ্বর’, এই সূত্রে তাঁরা দেবীকে ‘রাজরাজেশ্বরী’ বলে থাকেন। ষষ্ঠীর দিন সান্ধ্যবোধনের পর ‘রাজরাজেশ্বরী’ প্রবেশ করেন মন্দিরে এবং দশমীর সকালে পরিবারের জ্যেষ্ঠ বধূর আঁচলে কনকাঞ্জলি দিয়ে কৈলাশে ফেরেন।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!

'স্থানীয় সংবাদ'-এর সাংবাদিক। বাড়ি ঘাটাল শহরে(কুশপাতা ১৭ নম্বর ওয়ার্ড• পশ্চিম মেদিনীপুর)। আমার শহর ঘাটালের যে কোনও খবরই অবিকৃতভাবে সকলের সামনে তুলে ধরাতেই আমার আগ্রহ। •মো: 9732738015/9933998177 •ইমেল: [email protected]