মনশুকার বাঁশের সাঁকো ভাঙার জের: ঘাটালের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত ও ফেরিঘাট ইজারাদারদের নানান নির্দেশ দিলেন ঘাটালের বিডিও

মনসারাম কর, সাংবাদিক, স্থানীয় সংবাদ: গত ৯ নভেম্বর ঘাটালের মনশুকায় বাঁশের সাঁকো ভেঙে বিপত্তি ঘটার পর ফেরিঘাট পারাপারের নিরাপত্তা ও ডাক সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন ঘাটাল বিডিও ধ্রুবজ্যোতি প্রামানিক। সাঁকো ভাঙার পরের দিনই এই বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে ঘাটাল ব্লকের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ও সরকারি নথিভুক্ত সমস্ত ফেরিঘাটের ইজারাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ডাকা হয়। উভয়কেই কড়া নির্দেশ দেন বিডিও। ইজারাপ্রাপ্তদের জানিয়ে দেওয়া হয় প্রশাসনিক নির্দেশ মেনেই চালাতে হবে ফেরিঘাট। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ফেরিঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন। বিডিওর নির্দেশ, তালিকাভুক্ত রেট চার্টের উপর কোনও অতিরিক্ত টাকা নিতে পারবে না ইজারাদাররা। ফেরিঘাটের দুই দিকেই রেট চার্ট লাগাতে হবে। নদীর উপর অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো করলে তা সেচ দপ্তর থেকে অনুমতি নিয়েই করতে হবে। বিনা অনুমতিতে বাঁশের সাঁকো করা যাবে না। বাঁশের সাঁকোর ভার বহন ক্ষমতা কত সেদিকে নজর রাখতে হবে। ভার বহন ক্ষমতার উপর নজর রেখে যাত্রী পারাপার করাতে হবে। বর্ষার সময় নৌকা চলাচলের ক্ষেত্রেও নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার বন্ধ করতে হবে। ইজারাদাররা প্রশাসনিক নির্দেশ মানছে কিনা তার নজরদারি চালাবে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি। আলোচনায় উঠে আসে ফেরিঘাট ডাকের কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মের প্রসঙ্গ। গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিকে বিডিও ধ্রুবজ্যোতীবাবু জানান, বেশ কয়েকটি ফেরিঘাট রয়েছে যেগুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের তালিকায় নেই অথচ ব্যক্তিগত ভাবে কেউ তা চালান। তালিকাভুক্ত নয় এমন ফেরিঘাটগুলিকে তালিকাভুক্ত করে অন্যান্য ফেরিঘাটের মত ডাক দিয়ে পদ্ধতিগতভাবে চালাতে হবে। ডাকের আগে ফেরিঘাটের নিয়ম কানুন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সকলের সামনে উল্লেখ করতে হবে গ্রাম পঞ্চায়েতকে এবং যিনি ডাকবেন তার সাথে গ্রাম পঞ্চায়ের একটি চুক্তিপত্র হবে। চুক্তিপত্রটি হবে স্টাপ পেপারে। সেই চুক্তিপত্রে ফেরিঘাট সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশাবলী লেখা থাকবে। প্রসঙ্গত ঘাটাল ব্লক এলাকায় ১০ টি সরকারি তালিকাভুক্ত ফেরিঘাট রবেছে। সরকারি তালিকাভুক্ত নয় এমন ফেরিঘাটের সংখ্যা প্রায় পাঁচ। মোটের উপর মনশুকা ফেরিঘাটে বাঁশের সাঁকো ভেঙে বিপত্তির পর ফেরিঘাট নিয়ে কর্যত নড়ে চড়ে বসেছেন ঘাটাল ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতি। বিডিওর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনাকে সধুবাদ জানিয়েছেন অনেকই। বিডিও ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপ-প্রধান, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুপা মান্না, সহ সভাপতি দিলীপ মাজি, কর্মধ্যক্ষ বিকাশ কর সহ পঞ্চায়ের সমিতির অনেকেই।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!

‘স্থানীয় সংবাদ’ •ঘাটাল •পশ্চিম মেদিনীপুর-৭২১২১২ •ইমেল: [email protected] •হোয়াটসঅ্যাপ: 9933998177/9732738015/9932953367/ 9434243732 আমাদের এই নিউজ পোর্টালটি ছাড়াও ‘স্থানীয় সংবাদ’ নামে একটি সংবাদপত্র, MyGhatal মোবাইল অ্যাপ এবং https://www.youtube.com/SthaniyaSambad ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে।