ক্ষীরপাইতে পুকুর চোরদের পৌষমাস

চৌধুরী সামসুল আলম[রাজনৈতিক বিশ্লেষক•মো: ৯৭৩২৯৬৮৬৭৩]: পশ্চিমবঙ্গে যিনি নাকি গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছেন, যিনি নাকি মানুষের মতামত, পরিষেবাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেন বলে তার বশংবদদের মুখে প্রায়ই শুনি তিনি কোন এক অদৃশ্য কারণে পৌরসভাগুলোর ভোটকে পিছিয়ে পিছিয়ে খাদের কিনারায় এনে পৌঁছে দিয়েছেন। আর নির্বাচিত প্রতিনিধি নয়। অ্যাডমিনিস্ট্রেটর দিয়ে বোর্ড পরিচালিত হচ্ছে। অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বলতে আমরা বুঝি অন্তবর্তীকালীন সময়ে সরকারের কোন আধিকারিক ওই দায়িত্ব পালন করবেন। এটাই সাধারণত সরকারী নীতি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সব না করে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদে দলীয় ক্যাডারদের বসিয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি বোড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদে পরিবর্তন এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের অন্যান্য মিউনিসিপ্যালিটির মত ক্ষীরপাই পৌরসভাতেও  ওই পদেও পূর্বতন  প্রশাসক দুর্গাশঙ্কর পান ছিলেন। তার পরিবর্তে  নতুন প্রশাসক  বীরেশ্বর পাহাড়ি ওরফে বাপি পাহাড়ীকে করা হয়েছে। মাত্র কিছুদিন আগে এই‌  বাপি পাহাড়িই  ক্ষীরপাই পৌরসভার মধ্যে দুটি পুকুরকে বেআইনি ভাবে মাটি দিয়ে ভরাট করেছেন সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে। এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বিস্তর জলঘোলাও। তখন এই বীরেশ্বর ওরফে বাপি  পাহাড়ি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তিনি পুকুর ও জলাভূমি ভরাটের আইন‌ জানতেন না। তৎকালীন পৌর প্রশাসক দুর্গাশংকর পান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছিলেন যে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু তার ঘাড়ে ক’টা মাথা যে তিনি এহেন দাপুটে তৃণমূল নেতা বীরেশ্বর ওরফে বাপী পাহাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। কাজেই সেই পুকুর দু’টি যথারীতি ভরাট হয়ে গেছে।

 

আজ সেই পৌরসভার প্রশাসক পদে বীরেশ্বর ওরফে বাপী পাহাড়ি স্বয়ং বসে।  সেটা দিদির অনুপ্রেরণায়। পৌর এলাকায় পুকুর মাফিয়াদের এবার পোয়া বারো শুরু হয়েছে।  এতদিন পুকুর চুরি হয়েছিল। এবার এলাকা চুরি না হয়ে যায়। আর যাবে নাই বা কেন? এরাই তো দলের সম্পদ। এদের মতো সম্পদদের পদ না দিলে নৈরাজ্যের রাজ্যপাটকে কীভাবে টিকিয়ে রাখা যাবে?

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!