চন্দ্রকোণায় একইদিনে দুটি আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য

বাবলু সাঁতরা: চন্দ্রকোণা পুরসভার ২ নম্বর ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে একইদিনে দুটি আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। একজনের নাম জিৎবাহাদুর রাণা (৩২)। অন্যজনের নাম করুনা রুইদাস(৪৫)। চন্দ্রকোণা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের  নয়াগঞ্জের বাসিন্দা জিৎবাহাদুর রানা ১৭ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে আ্ত্মহত্যা করে। স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, ওইদিন রাতে বেশ কিছুক্ষণ দরজা না খোলায় স্থানীয় লোকজনকে ডেকে দরজা খোলা হলে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় জিৎবাহাদুরকে।তড়িঘড়ি চন্দ্রকোণা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। মৃতের এক ছেলে, স্ত্রী ও মা রয়েছে। ঘটনার দিন স্ত্রী ছেলে শ্বশুর বাড়িতে ছিল এবং বাড়িতে মা ছিল। যদিও ঘটনার সময় মা বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না, বাড়ি ফিরে দীর্ঘক্ষন দরজা বন্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয়দের ডেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। কী কারনে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা তা স্পষ্ট নয়। তবে  জিৎবাহাদুর অতিরিক্ত মদ্যপান করত বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে ওই পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেগুনবাড়ি এলাকায় স্বামীকে বাড়ির ভিতরে তালা দিয়ে উঠানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল করুনা রুইদাস নামে এক মহিলা। করুনাদেবীর স্বামীর নাম প্রহ্লাদ রুইদাস। ১৭ মার্চ মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়। আজ ১৮ মার্চ ভোরে মৃত মহিলার স্বামীর চিৎকারে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা খুলে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। প্রহ্লাদবাবুর কথায়, গতকাল রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে দুজনেই শুয়ে পড়েছিলেন, তারপর আর কিছু বুঝতে পারেননি। ভোরবেলা উঠে দরজা খুলতে গেলে দেখে তালা দেওয়া। তবে দুজনেই নিয়মিত মদ্যপান করতো বলে স্বীকার করেছেন মৃতের স্বামী। কী কারনে গলায় দড়ি তা নিয়ে ধন্দে সকলেই।পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সাতসকালে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!