দাসপুরের মহিলার এটিএম নকল করে টাকা গায়েব

নিজস্ব সংবাদদাতা: খোদ আই টি সেক্টের কর্মীর এটিএম থেকে টাকা হাপিস হয়ে গেল। না, ফোনের মাধ্যমে কোনও   পিন নম্বর বা ওটিপি জেনে নয়। অদ্ভুতভাবে সাড়ে ২৭ হাজার টাকা এটিএম থেকে তুলে নেওয়া হল দাসপুরের দীপাঞ্জনা দাসের। দীপাঞ্জনা দাস কর্মসূত্রে কলকাতার সল্টলেকের আইটি সেক্টরে কাজ করেন।  তিনি অন্যান্য মাসের মতো মার্চ মাসের ২ তারিখে তাঁর বাবাকে ২২ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন। দীপাঞ্জনা দাসের বাবা অজয় দাস ডাক বিভাগের কর্মী। অজয়বাবু বলেন, আমি ৫ মার্চ দাসপুর স্টেট ব্যাঙ্কে পাসবই আপডেট করতে গিয়ে দেখি টাকা নেই।  ব্যাঙ্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, আমার মেয়ের এটিএম কার্ড ব্যবহার করে ওই ২ মার্চেই কলকাতা থেকে বহু দূরে বর্ধমানের নিয়ামতপুর থেকে দুবারে ২২ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তার আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি  রূপনারায়ণপুর থেকে এটিএম কার্ড ব্যবহার করে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।

মোবাইলে নিয়মিত খবর পড়তে এইখানে ক্লিক করুন Whatsapp

দীপাঞ্জনা দাস কয়েক সপ্তাহ কলকাতার বাইরে বের হননি। তাঁর কাছেই এটিএম কার্ড রয়েছে। তা সত্ত্বেও ওই কার্ড ব্যবহার করে টাকা এটিএম থেকে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটায় হতবাক ওই দাস পরিবার।  অনেক ক্ষেত্রে এটিএম কার্ডের নম্বর ও সিভিভি(Card Verification Value) নম্বর জেনে বা মোবাইলের ওটিপি জেনে অনেকক্ষেত্রে এটিএমের টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়। দীপাঞ্জনা দাসের ক্ষেত্রে সেসবও ঘটেনি।

তবে ব্যাঙ্কের অভিজ্ঞতা বলছে, ওই ঘটনা ঘটাটা অস্বাভাবিকের কিছু নয়। দুষ্কৃতীরা এটিএমে উন্নত যন্ত্র বসিয়ে দিয়ে কার্ডের সব কিছু তথ্য কপি করে নিতে পারে। আর সেই তথ্য দিয়েই নতুন কার্ড বানিয়ে নেয়। ওই ডুপ্লিকেট কার্ডের মাধ্যেমেই মূল কার্ড মালিকের মতো সব কিছু  কাজ করতে পারে।  অথবা আরএফআইডি স্ক্যানার দিয়েও কার্ডের তথ্য নিয়ে টাকা তুলে নেওয়া যায়।  দীপাঞ্জনা দাসের ক্ষেত্রে হয়তো সেটিই হয়েছে। অজয়বাবু বলেন, আমি সমস্ত বিষয়টি জানিয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। অজয়বাবু ব্যাঙ্কে এবং থানায় জানালেও ওই টাকা ফেরৎ পাবেন কিনা তানিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেল।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!