ঘাটালের জামাইরাও ষষ্ঠীতে পেতে পারেন নতুন প্রজাতির মাছ ‘পেংবা’

তৃপ্তি পাল কর্মকার: যাঁরা জানেন না তাঁরা মাছের নাম ‘পেংবা’ শুনেই হয়তো চমকে উঠতে পারেন। কিন্তু চমকে ওঠার কোনও কারণ নেই। এবার জামাই ষষ্ঠীতে ওই ‘পেংবা’ মাছই জামাইদের পাত মাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই মাছটির জন্মস্থান কোথায় তা বলা মুশকিল। তবে চিনে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। চিনে এর নাম ‘নাগা হপ আউং’ এই ‘পেংবা’ ভারতের মণিপুরেও দেখা যায়। সম্প্রতি সেই মাছের ঠাঁই হয়েছে আমাদের রাজ্যে। ওড়িশার মৎস্যবিজ্ঞানীরা কৃত্রিম প্রজনন ঘটিয়েছেন। সেই চারা ২০১৮ সালে হলদিয়ার বিভিন্ন ফিসারিতে ছাড়া হয়েছিল। গত বছরই ওই জেলার মৎস্য দপ্তর প্রায় ৬০হাজার ‘পেংবা’ মাছের চারা চাষিদের বিতরণ করেছিল। মৎস্যপ্রিয় বাঙালির মুখের স্বাদ বদলাতে পরিচিত রুই, কাতলা, মৃগেল, ইলিশের মতো মাছের পাশে এবার হাজির মণিপুরের স্টেট ফিস ‘পেংবা’।


গড়নে খানিকটা পুঁটি মাছের মতো। কিন্তু স্বাদ ইলিশের। দাম এখনও জানা যায়নি। ‘পেংবা’ শীতপ্রধান অঞ্চলের মাছ হলেও বেশি তাপমাত্রায় এই মাছের চাষ সম্ভব। শীতল জলের তুলনায় বেশি তাপমাত্রার জলে এই মাছের বৃদ্ধি ভালো হয়। এরা বেন্থোপ্যালাজিক মাছ। অর্থাৎ জলাশয়ের নীচের স্তর থেকে উপরের স্তরের খাবার খেয়ে বড় হয়। তাই রাজ্য মৎস্য দপ্তরের আশা, ‘পেংবা’ এই রাজ্যের সব জেলার চাষিরাই আগামী দিনে চাষ করবে। রুই, কাতলা, মৃগেলের মতো শাকাহারী মাছ হওয়ার কারণে এক পুকুরে অন্য মাছের সঙ্গে মিশ্রচাষ করা সম্ভব। ‘পেংবা এক বছরে চারশো থেকে পাঁচশো গ্রাম ওজনের হয়। তবে ৩০০ গ্রাম ওজন হলেই এই মাছ বিক্রি করা যাবে।
আজ ৬জুন হলদিয়ায় ওই ‘পেংবা’ মাছ ধরে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবার ৮জুন জামাই ষষ্ঠীর দিনে ওই মাছ ঘাটাল মহকুমার জামাইদের পাতে দেওয়ার জন্য ঘাটালের অনেক মাছ ব্যবসায়ী হলদিয়ার মৎস্যচাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!