সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানের টাকায় করোনা দুর্গতদের ত্রাণ দিল দাসপুরের সমবায়

তনুশ্রী সামন্ত:সমবায়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালনের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে সেই অর্থে করোনা দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিনব নজির সৃষ্টি করল দাসপুর-২ ব্লকের এক সমবায় সমিতি। চকসুলতানে অবস্থিত ওই সমবায় সমিতির নাম মেহনতি কিষাণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি। ওই সমবায়ের জন্ম হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ। এবছরই ওই সমিতির সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালন হওয়ার কথা ছিল। ওই সমিতির চেয়ারম্যান বিপিনবিহারী প্রামাণিক বলেন, বর্তমানে দেশ তথা বিশ্বব্যাপী এই পরিস্থিতির জন্য এবছর আমাদের পক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালন করা সম্ভবও হবে না। করোনা জনিত লকডাউনের কারণে গৃহবন্দি অবস্থায় আটকে রয়েছেন আমাদের সমবায় এলাকার ছ’টি গ্রামের প্রায় ১৬০০ পরিবার। তাই ওই উৎসব উপলক্ষে বরাদ্দ প্রায় ৬ লক্ষ টাকা থেকে অতি প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী কিনে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
সমবায়ের সম্পাদক শ্রীদামচন্দ্র জানা বলেন, সেই মতো ২২ এপ্রিল থেকে জোতগোবর্দ্ধন, চক কিশোর, জোতভগবান, সিংহচক, জোতগোবিন্দ এবং চকসুলতান এই ছ’টি গ্রামের সমস্ত পরিবারের হাতে অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী হিসেবে, ডাল ৫০০ গ্রাম, চিনি ৫০০ গ্রাম, হলুদ ১০০ গ্রাম, লঙ্কা ১০০ গ্রাম, জিরা ১০০গ্রাম, সোয়াবিন ২০০গ্রাম, তেল ১ কেজি, লবণ ১কেজি, এক প্যাকেট বিস্কুট ও একটি করে ডেটল সাবান তুলে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ছিল একটি সচেতনতা মূলক প্রচারপত্রও। আগামী কাল ২৭ এপ্রিল এই প্রদান পর্ব শেষ হবে। লকডাউনের প্রথম দফায় আমরা সমিতির পক্ষ থেকে এক হাজার মাস্কও বিতরণ করেছিলাম।
ওই সমবায় এলাকার মানুষের পাশে থাকার পাশাপাশি দেশবাসীর জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তাদের সাধ্য মতো টাকা দিয়েছে। বিপিনবিহারীবাবু বলেন, আমরা সমবায়ের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২৫হাজার এবং প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। সমবায়ের ওই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দাসপুর এলাকার মানুষ। এলাকাবাসীরা বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে ওই সমবায়।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!