বিদ্যুতে বিপদ! নজরে আসতেই তড়িঘড়ি সমস্যা সমাধানে মুখ্য ভূমিকা নিলেন ঘাটালের মহকুমাশাসক

সৌমি নাগ দত্ত,স্থানীয় সংবাদ: এলাকাবাসী তাদের সমস্যা সমাধানে এক পা এগিয়ে এলে,সংবাদমাধ্যম তা তুলে ধরলে এবং প্রশাসনের নজরে তা এলে প্রশাসন যে এলাকাবাসীর সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট ভূমিকা পালন করে তার আবারও প্রমাণ মিলল দাসপুরে।

আমারা স্থানীয় সংবাদের ডিজিটাল মিডিয়া ঘাটালের সাধারণ মানুষের নানান সমস্যা তুলে ধরি শুধুমাত্র খবর প্রকাশ বা খবরের সংখ্যা বাড়াবার জন্য নয়। আমাদের নজর থাকে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সে সমস্যার সমাধানে। দীর্ঘ বেশ কয়েকমাস ধরেই দাসপুর ১ ব্লকের গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামে গ্রামের হাইস্কুল প্রাইমারী স্কুল যাবার পথে এবং অঙ্গন ওয়াড়ী কেন্দ্রের পাশেই একেবারে উন্মুক্ত অবস্থায় ছিল বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারের ফিউজ বক্স। মাঝে মধ্যেই শর্ট সার্কিট ফ্লাসিং। মুহূর্মুহূ লোডশেডিং শুধু নয় গ্রামবাসীরা আতঙ্কে ছিলেন বিদ্যালয়ে বা ওই ICDS কেন্দ্রে পাঠাতে গিয়ে ছাত্রছাত্রী ও শিশুদের নিয়ে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও আতঙ্ক ছিল এই বুঝি কিছু অঘটন ঘটলো।

সেই আতঙ্কেই গ্রামবাসী,ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক শিক্ষিকা মিলে ১২ আগষ্ট শনিবার ওই উন্মুক্ত ট্রান্সফরমারের কাছে দাঁড়িয়ে আমাদের স্থানীয় সংবাদের মাধ্যমে তাঁদের সমস্যা তুলে ধরেন। শুধু তাই নয় তাঁরা এও জানান বারে বারে বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের কাছে গেলেও টনক নড়েনি তাদের। শনিবারই আমরা গ্রামবাসী ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের সমস্যার কথা তুলে ধরি আমাদের ডিজিটাল মিডিয়ায়।

বিষয়টি প্রকাশ পেতেই নজরে আসে ঘাটাল মহকুমার মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাসের। তিনি তড়িঘড়ি বিদ্যুৎ দপ্তরের ঘাটালের ডিভিশনাল প্রধানকে বিষয়টি জানান এবং আজ রবিবার একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দাসপুরের গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামের সেই উন্মুক্ত ট্রান্সফরমারের ফিউজ বক্স লাগানো হয়। প্রশাসনের এমন তৎপরতা সাথে ঘাটালের মহকুমাশাসকের এমন সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা নেওয়ায় গ্রামবাসী থেকে ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক শিক্ষিকারা সুমনবাবুর প্রসংশা করেছেন।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!