দাসপুরে ব্যাঙের ছাতার মতন চোলাইয়ের ঠেক,অভিযান চলল।প্রশ্ন কড়া আইন থাকলেও চোলাইয়ের রমরমা কেন?

শ্রীকান্ত ভুঁইয়া ও ইন্দ্রজিৎ মিশ্র, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: দাসপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতন গজিয়ে উঠেছে বহু চোলাইয়ের ঠেক সাথে চোলাই তৈরির কারবার।
[‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন]
গ্রামের মহিলারা মদ্যপ(Drunk) স্বামীদের অত্যাচারে নাজেহাল হচ্ছেন। নড়েচড়ে বসেছে আবগারি দপ্তর(Excise Department)। দাসপুর(daspur) থানার সরবেড়িয়া এলাকার জয়কৃষ্ণপুর দিয়াসি পাড়ায় মঙ্গলবারের বেলা প্রায় দেড়টা থেকে বিকেল ৪টা টানা অভিযান চালায় আবগারি দপ্তর সাথে দাসপুর থানার পুলিশ। অভিযান চালাতে গিয়ে তাজ্জব তারা।

বাড়ির মধ্যেই চোলাই তৈরির যাবতীয় সরঞ্জাম পাশাপাশি প্রতিদিনের রান্নাবান্নার মতোই একেবারে চালা করে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই চোলাই তৈরি চলছে। আবার সেই চোলাই সাইকেল, বাইকে করে আশপাশের চোলাইয়ের ঠেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে। দিনে দুপুরে রাতের অন্ধকারে বিরাম নেই চোলাই বিক্রি সাথে মদ্যপদের অত্যাচার। সরবেড়িয়া(Sarberiya) এলাকার বাসিন্দারা বিশেষ করে এলাকার গৃহবধূরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত এই চোলাই এর নেশায় বুঁদ হয়ে অল্প বয়সেই ঘরের পুরুষেরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড়ে হিমসিম খাচ্ছে বাড়ির মহিলা বা কিশোর কিশোরীরা। আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে এদিনের এই অভিযানে মোট ৩০ লিটার তাজা চোলাই তারা নষ্ট করেছে পাশাপাশি ৪২০ লিটার চোলাই বানানোর কাঁচামাল নষ্ট করেছে দপ্তর। অন্যদিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে হাড়ি,বালতির মতো চোলাই তৈরির বহু সরঞ্জাম।

আবগারি দপ্তর বলছে, চোলাই তৈরি বা ব্যবসা বেআইনি(illegal)। এর থেকে সরকারের কোনও রাজস্ব আদায় হয় না। তা ছাড়া শরীরের ক্ষতি তো হচ্ছেই। চোলাই ব্যবসা রুখতে রয়েছে একাধিক কড়া আইনও। চোলাই রুখতে ১৯০৯ সালে তৈরি হয়েছিল ‘বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্ট’। ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ৪৬ এসি ধারায় মামলা হয়। আগে জামিনযোগ্য হলেও, ২০১২ সাল থেকে ওই ধারা সংশোধন করে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। সবার্ধিক পাঁচ বছরের জেল হতে পারে। আর ওই মদ খেয়ে কারও মৃত্যু হলে ৪৬এসিসি ধারায় মামলা হয় অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। তাতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নিদানও রয়েছে। কিন্তু আইনি রক্তচক্ষুর আড়ালে দিব্যি রমরমা ব্যবসা চলেছে চোলাইয়ের। এত কড়া আইন চালু করলেও ক্রমশ মদের কারবার বাড়ছে কী করে? চোলাই কারবারের সঙ্গে যুক্তরাই বলছেন, ‘‘সর্ষের মধ্যেই যে ভূত রয়েছে।’’

 

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!

'স্থানীয় সংবাদ'-এর সাংবাদিক। ঘাটাল মহকুমার যে কোনও খবরের জন্য আমাকে কল করতে পারেন। •মো: 9547022372/9427357237/9732738015 •ইমেল: [email protected] •মোবাইল অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.myghatal.eportal&hl=en ইউটিউব: https://www.youtube.com/c/SthaniyaSambad •ফেসবুক: https://www.facebook.com/SthaniyaSambad.Ghatal/