ঘাটালে এবার মিষ্টিতে এক্সপাইরি ডেট লিখে বিক্রি করতে হবে, তা না হলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে

দেবাশিস কর্মকার: ঘাটালের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে  নয়া গাইডলাইন মহকুমা প্রশাসনের। বিক্রির সময় মিষ্টির সঙ্গে তার ‘এক্সপাইরি ডেট’ থাকা বাধ্যতামূলক। তা লেখা  না থাকলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খদ্দেরদের স্বার্থে ঘাটাল মহকুমা জুড়ে এরকমই কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হতে চলেছে বলে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে।
ঘাটাল খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক অরুণাভ দে বলেন, প্রতিটি মিষ্টান্নে তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার নির্দিষ্ট তারিখ আলাদা আলাদাভাবে উল্লেখ থাকাটা বাধ্যতামূলক।   বিষয়টি নিয়ে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে সংশ্লিষ্ট গাইডলাইন প্রকাশও করেছি আমরা।
পুজোর মরুসুমে মিষ্টান্নের চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা বেড়ে যায়। মানুষের মধ্যে এই অতিরিক্ত চাহিদার সুযোগে অনেক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীই মেয়াদ উত্তীর্ণ বা আংশিক নষ্ট  হয়ে যাওয়া মিষ্টিই খদ্দেরদের গছিয়ে দেন। এছাড়াও অন্যান্য সময়ও এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটে। ফলে অনেকসময়ই সঠিক মূল্যের বিনিময়েও নাহ্য জিনিস থেকে বঞ্চিত হতে হয় ক্রেতাদের। কিন্তু এতদিন সরকারিভাবে কোনও নির্দেশ না থাকার কারণে বিষয়টি নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অনুযোগ উঠলেও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কোনও রকম হেলদোল ছিল না। মুনাফার লোভে খদ্দেরদের ঠকাতেও ওই সকল মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের কোনও দ্বিধাবোধ হত না। তাই বর্তমানে জনস্বাস্থ্যের প্রসঙ্গটি মাথায় রেখে  বিষয়টিতে পুরোপুরিভাবে রাশ টানতে কড়া হল প্রশাসন।  ঘাটাল খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক  বলেন, অক্টোবরের শুরুতেই সারাদেশেই এই নির্দেশ জারি হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে রাজ্যের নির্দেশ মত মহকুমায় এই গাইডলাইন আনা হয়েছে। সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রকাশিত ওই গাইডলাইনে কোন মিষ্টি কতদিনের মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে সে বিষয়ে আলাদা আলাদা ভাবে তাদের ‘সেল্ফ লাইফ’ উল্লেখ করা আছে। ওই গাইডলাইন অনুসারে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা মিষ্টিগুলি বিক্রির জন্য রাখতে পারবেন।   সেগুলি নীচে উল্লেখ করা হল—
১) কালাকাদ বা ওই জাতীয় মিষ্টান্নের ক্ষেত্রে যেদিন তৈরি করা হবে সেদিনের জন্যই কেবলমাত্র বিক্রির জন্য রাখা যাবে।
২) দুধের তৈরি নানা রকম বাংলার মিষ্টি যেমন- রসগোল্লা, রস মালাই, রাজভোগ, চম-চম, রাবাড়ি রস মালাই, গুড় রসগোল্লা ইত্যাদি মিষ্টিগুলি তৈরির পর দু’দিন পর্যন্ত বিক্রির জন্য রাখা যাবে।
৩) বিভিন্ন লাড্ডু জাতীয় মিষ্টি যেমন কেশর লাড্ডু, মতিচুর, ক্ষীর কদম, তিল লাড্ডু ইত্যাদি মিষ্টি গুলি তৈরি হবার পর চারদিন পর্যন্ত বিক্রির জন্য রাখা যাবে।
৪) ঘি বা শুকনো ফল দিয়ে তৈরি বিভিন্ন মিষ্টি যেমন- কাজু কেশর বরফি, বাদাম বরফি, বাদাম রোল, বেসন বরফি ইত্যাদি মিষ্টি গুলি তৈরি হবার পর সাতদিন তথা এক সপ্তাহ পর্যন্ত বিক্রির জন্য রাখা যাবে।
৫) আটার লাড্ডু, বেসন লাড্ডু, ছানা বরফি, ছানা লাড্ডু ইত্যাদি মিষ্টিগুলি তৈরি হবার পর ৩০ দিন তথা এক মাস পর্যন্ত বিক্রির জন্য রাখা যাবে।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!