ঘাটালের বিভিন্ন জায়গায় উদযাপিত হল হুল দিবস

কুণাল সিংহরায় ও মন্দিরা মাজি, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: ঘাটালের কয়েকটি জায়গায় শহিদ সিধু-কানুর স্মরণে হুল দিবস উদযাপিত হল। আজ ৩০ জুন দিনটিকে হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বীরসিংহ সিধু-কানু ক্লাবের উদ্যোগে হুল দিবস উপলক্ষ্যে প্রথম অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রথানুসারে সাড়ম্বরে পালিত হল হুল দিবস। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা জানান, তাঁদের নিজস্ব রীতি মেনে পুকুরে ঘট ডুবিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা করা হয়। এরপর শহিদ সিধু-কানুর প্রতিকৃতিতে মালা পরিয়ে, নৈবেদ্য সাজিয়ে পুজা-অর্চনা করেন তাঁদের আদিবাসী পুরোহিত। ক্লাবের সম্পাদক বিমল সোরেন আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, গত বৎসর করোনা পরিস্থিতির কারণে অতি সংক্ষিপ্ত ভাবে আমরা হুল দিবস পালন করেছিলাম। যা আমাদের আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে খুবই বেদনাদায়ক।

অন্যদিকে সারা ভারত কৃষক সভা, সারা ভারত ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন ও আদিবাসী অধিকার মঞ্চ এবং ঘাটাল ব্লক কমিটির উদ্যোগে বীরসিংহের সিপিএমের পার্টি অফিসেও হুল দিবস পালন করা হয়। ছোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজকের দিনটি উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে ২০ জন আদিবাসী মহিলার হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হয় নেতৃবৃন্দের তরফে।

আবার দাসপুর-১ ব্লকের গোবিন্দপুর সংলগ্ন গোটেশ্বরেও একইভাবে হুল দিবস পালন করা হল। সারা ভারত কৃষক সভা, সারা ভারত ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন ও আদিবাসী অধিকার মঞ্চের উদ্যোগে শহিদ সিধু-কানুর স্মরণে আজকের দিনটি উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানা যায়।

উল্লেখ্য প্রতিবছর ৩০ জুন দিনটি পালিত হয় হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। ইংরেজদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার এটিই প্রথম সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন, যা সিধু-কানুর নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল। এই আদিবাসী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ইংরেজ সিপাহিরা কানুকে ফাঁসি দিয়েছিলেন, আর সিধুকে গুলি করে মেরে ফেলেন। তাদেরই স্মরণে প্রতিবছর পালিত হয় হুল দিবস।

 

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!

•‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সাংবাদিক। ঘাটাল মহকুমার যেকোনও খবর আমাকে সরাসরি পাঠাতে পারেন। মো: 9933998177/ 9732738015