আর্সেনিক অ্যালবামকে ঘিরে প্রবল উদ্দীপনা ঘাটাল মহকুমায়, যথেচ্ছ ব্যবহারে বিপদের আশঙ্কাও থাকছে বলে চিকিৎসকদের অভিমত

শুভম চক্রবর্তী: করোনার ত্রাসথেকে রক্ষা পাবার জন্য মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির নিরিখে আয়ুষ মন্ত্রকের গাইডলাইন মেনে সম্প্রতি মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ জনসাধারণকে আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০ সেবনের পরামর্শ দেয় এবং কিছু দিন আগে তা বিলির ব্যবস্থাও করে।
এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সেই খবর। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় তা গুজবের আকার ধারণ করে ফলে আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০পরিণত হয়েযায় করোনার প্রতিষেধকে। মুহুর্তের মধ্যে মানুষের মধ্যে ওষুধ কেনার হিড়িকও পড়ে যায়। ঠিক যেমনটা হয়েছিল কিছুদিন আগে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন নামক একটি অ্যালোপ্যাথি ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে। ঘাটাল শহরের বেশ কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকানে ভিড় জমেছে সকাল থেকেই। যার অধিকাংশই আসছেন আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০এর  খোঁজে। ব্যাপারটা এমন যেন এই ওষুধটিতেই লুকিয়ে আছে করোনা হারানোর রহস্য। সচেতন গ্রাহক যেমন আছেন তেমন নেহাত হুজুরকের বসে ওষুধ সংগ্রহকারীর সংখ্যাও কম নয়। ঘাটাল শহরের এক হোমিওপ্যাথি ওষুধ দোকানদার বলেন, হঠাৎ করেই এই ওষুধ টির চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। যতক্ষণ স্টকে থাকছে গ্রাহকদের দেবার চেষ্টা করছি। না হলে পরে নেওয়ার অনুরোধ করছি। সারাদিন অনেকেই আসেন যারা যানেনই না ওষুধের কাজ কী আমরা বারে বারে অনুরোধ করছি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে কারণ।
এই প্রসঙ্গে ডাক্তার সুমন্ত চৌধুরী বলেন, আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০ওষুধের যেমন ভালো কাজ আছে তেমনই যথেচ্ছ ব্যবহার করতে গেলে ভয়ানক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখাদেবার সম্ভবনা থেকেই যায়। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেই কিনে সেবন শুরু করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!