প্রচারের জন্য অনেকে নদী বা খালের পাড়ে কচ্ছপ কুড়িয়েও বন দপ্তরকে খবর দেন

তৃপ্তি পাল কর্মকার👆স্থানীয় সংবাদ•ঘাটাল:প্রচার নয় উদ্দেশ্য ছিল বন্যপ্রাণ বাঁচানো। তাই বনদপ্তরে খবর না দিয়ে এক  উদ্ধার করা কচ্ছপকে জলাশয়ে ছেড়ে দিলেন ঘাটাল থানার চৌকার বাসিন্দারা। আমাদের ঘাটাল মহকুমার চারিদিকে মাঠ ঘাট বন আগাছায় ভর্তি। তাই সাপ-খোপ, কচ্ছপ- গোসাপ এগুলো থাকা খুব স্বাভাবিক। এই বর্ষায় মাঠ ঘাটে জল থাকার জন্য এই সব প্রাণীরা ডিম দেবার জন্য, বাচ্চা দেবার জন্য ডাঙার দিকে উঠে চলে আসে। মাছের জাল বা ঘুনীতে প্রায় আটকা পড়ে সাপ। বনদপ্তরে খবর দিয়ে প্রচারে আসতে চাওয়া পাবলিক কম নেই।   নদী বা খালের পাড়ে কচ্ছপ কুড়িয়েও প্রচার পাবার জন্য মিডিয়া এবং বন দপ্তরকে খবর বেশিরভাগ মানুষ। কারণ তাঁদের   প্রাণীটির জীবন বাচানোর উদ্দেশ্য থাকে না, থাকে প্রচার পাওয়ার বাসনা। কিন্তু আজ ২৮ জুন ভিন্ন চিত্র দেখা দিল চৌকাগ্রামে। তাঁরা সত্যিই কচ্ছপটি মারতে চান না বলে ক্চ্ছপটি উদ্ধারের পরই এভাবে ছেড়ে দেন।প্রসঙ্গত, বনদপ্তরে খোঁজ নিয়ে আমরা জেনেছি ঘাটালে বনদপ্তরের কর্মী সংখ্যাও কম। তাই এতখানি বড় মহকুমায় পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বনদপ্তর চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে প্রাণীগুলো উদ্ধার করতে পারে না সবসময়। অনেকটা দেরি হয়ে যায়।  দেরীর কারণে অনেক সময় আটকে পড়া প্রাণীদের জীবন সংশয় হয়ে পড়ে। তাই প্রকৃত বন্যপ্রাণী ভালোবাসলে বনদপ্তরের জন্য অপেক্ষা না করে প্রাণীটিকে মুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া যায়। আমরা টিম স্থানীয় সংবাদ চৌকার এই কচ্ছপ ছাড়ার ঘটনাটি পূর্ণ সমর্থন করেছি, তাই প্রচারে আসতে না চাইলেও কচ্ছপ ছাড়ার ঘটনাটি প্রচার করে মহকুমার মানুষকে সচেতন করতে চেয়েছি, বন্যপ্রান বাঁচাতে চাইলে এভাবেই প্রাণীদের পাশে থেকে তাদের পরিবেশের কোলে ফিরিয়ে দিন।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!