হুমকির পর রাতের অন্ধকারে বিধায়ক শঙ্কর দোলই সেই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে কেন?

নিজস্ব সংবাদদাতা: চমকে যাবার মতোই খবর! আবার খবরের শিরোনামে সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক রীতেন মান্না এবং ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই। যাদের দুজনকে নিয়ে ঘাটাল মহকুমা পক্ষকাল ধরে সরগরম রয়েছে। কিছু দিন আগে ঘাটাল ব্লকের সুলতানপুর গ্রামপঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজ নিয়ে নির্মাণ সহায়ক রীতেনবাবুর সঙ্গে রাজনৈতিক মতানৈক্যের জন্য দূরত্ব তৈরি হয়েছিল শঙ্করবাবুর। তার জেরেই শঙ্করবাবু ১৭ অক্টোবর ফোনে রীতেনবাবুকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। সেই হুমকি মতো রীতেনবাবুকে ঘাটাল থেকে ১৩৩ কিলোমিটার দূরে দাঁতন-২ ব্লকের পোরোলদা গ্রামপঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক হিসেবে বদলি করার অর্ডারও বার করে দেওয়া হয়েছে ২২ অক্টোবর। শঙ্করবাবুর অভিযোগ, রীতেনবাবু বেছে বেছে বিজেপির কর্মীদের ১০০ দিনের কাজ দিচ্ছিলেন। রীতেনবাবু জানিয়েছিলেন, সরকারি নিয়মেই যাঁরা কাজ করতে চান তাঁদের নাম মাস্টার রোলে বেরিয়েছিল। আর নাম দেখে তাঁর পক্ষে তো বোঝা সম্ভব নয় কে কোন দলের সমর্থক। যাদের মাস্টার রোলে নাম বেরিয়েছিল তাঁদেরকেই কাজ দেওয়া হয়েছিল।
রীতেনবাবু বর্তমানে খুবই অসুস্থ। রীতেনবাবুর স্ত্রী মলি মান্না বলেন, বদলির খবর পেয়েই আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পাঁচ দিন ধরে শয্যাশায়ী। তবে সেই অসুস্থতার খবর অনেকেই জানতেন না। আজ ২৮ অক্টোবর সেই অসুস্থতার খবর জানার সঙ্গে সঙ্গেই ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই এবং সুলতানপুর গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিৎ বারিক রীতেনবাবুর বাড়ি ছুটে গেলেন। রীতেনবাবুর বাড়ি দাসপুর-১ ব্লকের রসিকগঞ্জে। সেখানে গিয়ে শঙ্করবাবু ও বিশ্বজিৎবাবু অনেকক্ষণ কাটালেন। কুশল নিলেন রীতেনবাবুর। সত্যি এক যেন অন্য বিধায়ক! যিনি রাজনীতির সঙ্গে মানবিকতাকে মিশিয়ে ফেলেননি। শঙ্করবাবুর এই সৌজন্যতা ও মানবিকতার পরিচয় দেখে অভিভূত ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দারা। রীতেনবাবু জানিয়েছেন, শঙ্করবাবুর আসার বিষয়টি তাঁরও ভাল লেগেছে।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!