ঢোল বাজিয়ে বার্তা প্রচার: পান্নার এই পুরানো সংস্কৃতির বাহকের স্বীকৃতি মেলেনি আজও

দেবাশিস কর্মকার: ঢোল বাজিয়ে সংবাদ প্রচারের ছবি এখন আর চোখে পড়ে না। কিন্তু ঘাটালের বুকে ওই সাবেক সংবাদ প্রচারের সংস্কৃতি এখনও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। ঘাটাল পান্না বাজারের বাসিন্দা নিমাই পাত্র সেই হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতির ধারাকে আজও বজায় রেখে চলেছেন। পেশায় কৃষিকাজের সাথে যুক্ত হলেও শিল্পের প্রতি অনুরাগ থেকে গত ৩০ বছর ধরে ঢোল বাজাচ্ছেন তিনি। কিন্তু এলাকাবাসীর কাছে শুধু বাজনাবাদক নয়, সংবাদ প্রচারক হিসেবেও তিনি তাঁর একটি বিশেষ পরিচয় গড়ে তুলেছেন। সরকারি বা বেসরকারি যেকোনও সংবাদ তাঁর কাছে পৌঁছলেই এলাকায় ছড়িয়ে দিতে ঢোল সম্বল করে বেরিয়ে পড়েন প্রচারের কাজে। এছাড়াও এলাকায়  সমাজ সচেতনতামূলক কোনও বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার। কখনও নূন্যতম পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কখনও বা বিনামূল্যে সারা এলাকা চষে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ ও বার্তা পৌঁছেদেন প্রতিটি মানুষের কাছে।  ওই গ্রামের বাসিন্দা সুহৃত চক্রবর্তী বলেন, সংবাদ প্রচারের এই সাবেক সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য আমরা এলাকাবাসী নিমাইবাবুকে নিয়ত কুর্নিশ জানাই।
নিমাইবাবুর বয়স ৬৫ ছাড়িয়েছে। এখন শারীরিক অসুস্থতার জন্য অনেক সময় প্রচারের কাজ থেকে অব্যাহতি দিতে হয় তাঁকে। কিন্তু বাজনার রেওয়ায় ছাড়েননি। ফলে সময় সুযোগ পেলেই এখনও বেরিয়ে পড়েন প্রচারের কাজে। কিন্তু, নিমাইবাবুর অনুযোগ, তাঁর এই ধারাবাহিক শিল্পকর্মের জন্য আজ পর্যন্ত কোনও সরকারি অনুদান পাননি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতে আবেদন করলেও সেখান থেকে কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।  তিনি বলেন, নাম-সংকীর্তন বা বাউল শিল্পীদের এখন সরকার থেকে নিয়মিত অনুদান দেওয়া হয়। কিন্তু আমার বিষয়টি নিয়ে আবেদন করেও আজও কোনও ফল মিলল না।
•এই খবর সম্পর্কিত ভিডিওটি দেখতে চাইলে ▶এখানে ক্লিক করতে পারেন।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!