দাসপুরে পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রাপ্য রেশন হাতানোর অভিযোগ তৃণমূলের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদদাতা: পরিযায়ী শ্রমিকদের বরাদ্দকৃত চাল ও চানা ক্ষমতার বলে  দুই তৃণমূল কর্মী নিজেদের নামে কুপন বার করে তা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাল বিজেপি। শুধু তাই নয়, দাসপুর-১ ব্লকের আনন্দগড়ের ওই দুই তৃণমূল কর্মী গণেশ প্রহরাজ এবং কার্তিক প্রহরাজের ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছে বিজেপি। আনন্দগড়ের বিজেপি কর্মী দেবকুমার শাসমল  জানান, তাঁর গ্রামের ২৫ থেকে ৩০ জন পরিযায়ী শ্রমিক রেশনের চাল ও চানা না পেলেও গ্রামের এক দাপুটে তৃণমূল পরিবারের দুই ভাই গণেশ প্রহরাজ ও কার্তিক প্রহরাজ তাদেরকে পরিযায়ী শ্রমিক পরিচয় দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের বরাদ্দকৃত রেশন কুপন হাতিয়ে বেমালুম রেশন নিচ্ছেন। যদিও বিজেপির ওই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই।  রেশন দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ঘাটাল মহকুমার এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অর্জুন পাল বলেন, টেমপোরারি কুপনের মাধ্যমে মাসে (মে ও জুন মাসের জন্য) মাথা পিছু পাঁচ কেজি করে চাল এবং পরিবার পিছু দু’কেজি করে চানা শুধু মাত্র পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নয়। এই মহকুমার বাসিন্দা কোনও ব্যক্তি যদি কোনও ভাবে রেশন না পেয়ে থাকেন তিনিও আবেদনের ভিত্তিতে এই রেশন পেতেই পারেন। উল্টো দিকে এখানের বাসিন্দা কোনও ব্যক্তি এত দিন বাইরে ছিলেন সম্প্রতি বাড়ি এসেছেন অথচ তাঁর কার্ডে রেশন তোলা হচ্ছে,সেক্ষেত্রে তিনি পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে চিহ্নিত হলেও তিনি টেমপোরারি কুপনের মাধ্যমে এই বিশেষ রেশনের সুবিধে পাবেন না।
এদিকে গণেশ প্রহরাজ কুপন হাতিয়ে নেওয়ার এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাঁর পরিবার কোনও দিন রেশন দ্রব্য নেননি। তাঁদের আধুনিক রেশন কার্ডও নেই। তিনি তাঁর পরিবারের জন্য রেশন কার্ডের জন্য দাসপুর-১ ব্লক অফিসে আবেদন জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি তাঁদের রেশন পাওয়ার জন্য এই টেম্পোরারি রেশন কুপন দেওয়া হয়েছে। তিনি সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ওই কুপন পেয়েছেন। অনিয়ম কিছুই হয়নি। একই প্রতিক্রিয়া  ব্যক্ত করেন কার্তিকবাবুও। তিনি বলেন, আমি একজন তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। আমি নিয়মটা জানি। এই কুপন শুধুমাত্র পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নয়। যাদের রেশন কার্ড নেই তাদেরকে বর্তমান পরিস্থিতিতে রেশন পাওয়ার সরলতার জন্য কার্ড না থাকলেও এই কুপনের মাধ্যমে রেশন দিচ্ছে সরকার৷ বিজেপি তো অজ্ঞতাজনিত কারণে এবং নিয়ম না জেনে আমাদেরকে নিয়ে রাজনীতি করছে।
দাসপুর-১ বিডিও বিকাশ নস্কর বলেন, যাঁদের ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই তাঁদের অনেককেই এই টেমপোরারি কুপন দেওয়া হয়েছে। এটা কোনও অনিয়ম নয়। যদি কেউ অনিয়ম বলে থাকে তিনি না জেনে বলেছেন।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!