কামড়ানোর পর গর্তে লুকিয়ে পড়ে কালাচ: মেয়ের মৃত্যুর দেড় মাস পরেও তাই আতঙ্কেই দিন কাটাতে হচ্ছে দাসপুরের সামন্ত পরিবারকে

শ্রীকান্ত ভুঁইঞা: সরকারি অনুদানে মেলেনি পাকা বাড়ি। তাই  পুরানো মাটির বাড়িতেই সাপের আতঙ্কেই দিন কাটাতে হচ্ছে।এই বুঝি গর্ত থেকে বেরিয়ে আবার দংশন করবে! সর্পদংশনে মেয়ের মৃত্যুর শোকে তো রয়েইছে। একই সঙ্গে লুকিয়ে পড়া ওই ঘাতক কালাচ সাপটিকে ধরতে না পারায় ওই দুর্ঘটনার দেড় মাস পরেও এখনও আতঙ্কিত হয়ে দিন কাটাচ্ছেন  দাসপুর থানার সোনামুই গ্রামের সামন্ত পরিবার। সরকারি অনুদানে পাকা বাড়ির আবেদন জানিয়েছিলেন। এলাকার অনেকের পাকা বাড়ি মঞ্জুর হলেও কোনও অজ্ঞাত কারনে ওই সামন্ত পরিবারের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়েনি। আর সেজন্যই অকালে প্রাণ গেল তাঁদের বাড়ির মেয়ের। পাকা বাড়ি হলে হয়ত প্রাণে বাঁচত মিনু। প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই ওই গ্রামের সামন্ত পরিবারের নারায়ণ সামন্তের ১৩ বছরের একমাত্র মেয়ে মিনু সামন্তকে দুপুরে বাড়িতে বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় কালাচ সাপে কামড় দেয়। পাড়া-প্রতিবেশীদের কথামতো এলাকার একটি ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁক করতে নিয়ে গেলে পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মৃত্যু হয় মিনুর।ওইদিন সাপটি কামড় দিয়ে বাড়ির কোনও এক গর্তে লুকিয়ে যায়। বন দফতরের কর্মীরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সাপটি উদ্ধার করতে পারেনি। তাই তাদের নির্দেশ মত ওই বাড়ির সদস্যদের এলাকার একটি ক্লাব ঘরে রাত কাটাতে হয় বেশ কয়েকদিন।কারন সম্পূর্ণ বাড়িটি মাটির তৈরি এবং ওই বাড়ির মধ্যে রয়েছে অসংখ্য গর্ত।কিন্তু পরবর্তী সময়ে কিছুদিন পর বাড়ির বাকি সদস্যরা বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করলেও আতঙ্কে বাড়ির ওই ঘরের মধ্যে ঢুকতে পারেনি মিনুর বাবা নারায়ণ সামন্ত ও মা অর্চনা সামন্ত। একমাত্র মেয়ের এভাবেই অকালে প্রাণ চলে যাওয়ায় শোকাস্তব্ধ তাঁরা। ওই বাড়ির বড় ভাই সত্য সামন্ত অনুযোগের সুরে জানান, আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে এলাকায় যে সমস্ত ব্যক্তির মাটির বাড়ি রয়েছে তাঁদের পাকা বাড়ি পাইয়ে দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও নাম আসেনি।তাই মিনু সহ ৯ জন সদস্যকে নিয়েই আমাদের এভাবে মাটির বাড়ির দুটি ঘরেই দিন কাটাতে হতো। এখন মিনু আর নেই! তাই ৮ জন সদস্যকে নিয়ে ভয়ে ভয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তাই আমরা প্রশাসনের কাছে সাহায্যের কাকুতি মিনতি করছি। একই বক্তব্য মিনুর ঠাকুমা যমুনাদেবীর। তিনি বলেন, নাতনিকে হারিয়ে আমি ও আমার পরিবার এখন আতঙ্কিত।এই অসহায় অবস্থায় তাই বাড়ির আর কোনও সদস্যের এভাবে অকালে যাতে প্রাণ না যায় তাই সরকার বাহাদুরের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!

'স্থানীয় সংবাদ'-এর সাংবাদিক। ঘাটাল মহকুমার যে কোনও খবরের জন্য আমাকে কল করতে পারেন। •মো: 9547022372/9427357237/9732738015 •ইমেল: [email protected] •মোবাইল অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.myghatal.eportal&hl=en ইউটিউব: https://www.youtube.com/c/SthaniyaSambad •ফেসবুক: https://www.facebook.com/SthaniyaSambad.Ghatal/