পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যপালের হাতে সম্মানিত হলেন ঘাটালের উজ্জ্বলকুমার ঘটক

দেবাশিস কর্মকার, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: ভারতীয় সেনা কল্যাণে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মানিত হলেন ঘাটালের ড. উজ্জ্বলকুমার ঘটক।  ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বসু তাঁর হাতে ‘দুর্গা ভারত’ সম্মান তুলে দেন।  বর্তমানে উজ্জলবাবু অন্ধ্রপ্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিফেন্স স্টাডিজ তথা প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন সহযোগীঅধ্যাপক হিসেবে [‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] কর্মরত রয়েছেন। ওই সম্মান প্রসঙ্গে উজ্জ্বলবাবু বলেন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় শতাধিক অবসর প্রাপ্ত সেনা-জওয়ানদের রাজ্য সৈনিক বোর্ডের তরফে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ এবং শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। অন্ধ্র ইউনিভার্সিটি ফর ডিফেন্স স্টাডিজের একজন অধ্যাপক হিসেবে উজ্জ্বলবাবু পশ্চিমবঙ্গের অবসরপ্রাপ্ত  সেনা-জওয়ানদের বিষয়টিতে উদ্বুদ্ধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ওই কাজেরই স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার লাভ করলেন তিনি।
উজ্জ্বলবাবু জানান, ভারতীয় নিরাপত্তা বিভাগের ডিপার্টমেন্ট অফ এক্স-সার্ভিসমেন ওয়েলফেয়ারের পক্ষ থেকে একটি সর্বভারতীয় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার প্রধান উদ্দেশ্য অবসরপ্রাপ্ত সেনা-জওয়ানদের আর্থ সামাজিক মানোন্নয়ন।  যেখানে অবসরপ্রাপ্ত জওয়াদের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট রাজ্য সৈনিক বোর্ড  তাদের প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। উজ্জ্বলবাবু পশ্চিমবঙ্গের অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানদের মধ্যে ওই সরকারি সুযোগসুবিধা সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
উজ্জ্বলবাবুর বাড়ি ঘাটালের শ্যামসুন্দরপুরে। তিনি  প্রাথমিক শিক্ষা  ঘাটালেই শেষ করেন।  মেদিনীপুর কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যাতে স্নাতকস্তরে পড়তে পড়তেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা তথা নৌ-বাহিনী বিভাগে চাকরির সুযোগ পেয়ে যান ১৯৯২ সালে। ওই সময় নৌবাহিনী বিভাগে প্রশিক্ষণ শেষ করে কোচিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি সার্টিফিকেট লাভ করেন। এরপর ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগে নানা পদে প্রায় কুড়ি বছর কর্মরত ছিলেন। প্রসঙ্গত, তাঁর কর্ম জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হল ১৯৯৯ সালের ভারত-পাকিস্তান কার্গিল যুদ্ধ। ওইসময় তিনি গুজরাট এবং করাচি সীমান্ত রেখায় সংগঠিত ‘অপারেশন তলোয়ার-এ অংশগ্রহণ করেন। এর পাশাপাশি ২০০৪ সালে ভারত মার্কিন জয়েন্ট মিলিটারি এক্সারসাইজ-এ তিনি অংশ নিয়ে ছিলেন।  ২০১২ সালে তাঁর কর্ম জীবন থেকে স্বেচ্ছা অবসর নেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি সামরিক বিষয়ে গবেষণার কাজ শুরু করেন। ২০১৬ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিফেন্স স্টাডিজ তথা প্রতিরক্ষা বিভাগে সহ-অধ্যাপক হিসেবে কাজের সুযোগ আসে।   প্রসঙ্গত, সেনা কল্যাণে তাঁর অবদানের জন্য গত বছর অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার কর্তৃক তিনি পুরস্কৃত হয়েছিলেন।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!