বিক্ষোভ সামাল দিচ্ছে পুলিশ! আটক নাত বউয়ের বাবা মা। ২ গ্রাম সোনা লস! তার পরেই লখনউ থেকে দুঃসবাদ দাসপুরে

সৌমেন মিশ্র, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: গ্রামের বছর ১৮ এর কার্তিকের দেহ গ্রামে পৌঁছাতেই বিক্ষোভ দাসপুর থানার শ্যামসুন্দপুরে। সামাল দিতে মোতায়েন দাসপুর থানার পুলিশ। জানা যাচ্ছে, ওই গ্রামের বিশ্বনাথ সামুই এর বড় ছেলে কার্তিক সামুই ভিন রাজ্যে সোনার কাজ করতেন। দু’মাস হবে বিয়ে করেছে। দাদু সুদর্শন সামুই জানান, নাতি ও নাত বউ একসাথেই থাকতেন লখনউতে। শুক্রবার হঠাৎই নাতি কার্তিক এর  ফোন, ২ গ্রাম সোনার লস। আর ভালো লাগছে না বাড়ি ফিরতে চাই ১২ হাজার টাকা পাঠাও। আজ রবিবারের দুপুর ১টা নাগাদ নাতি কার্তিক বাড়ি ফিরেছে তবে দেহে প্রাণ নাই। আর তার পরেই সামুই পরিবার কার্তিকের দেহ ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। কার্তিকের দেহের সাথে লখনউ থেকে ফিরেছে স্ত্রী মিঠু। শুক্রবার গভীর রাতেই  স্ত্রী মিঠু লখনউ থেকে দাসপুরের শ্যামসুন্দরপুরের বাড়িতে কার্তিকের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল। কার্তিকের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভ কার্তিকের গ্রামের বাড়িতে। শনিবারের রাতে শ্যামসুন্দরপুরের সামুই পরিবারের তখন শোকের ছায়া। কথা হচ্ছিল কার্তিকের ঠাকুমা কাজলদেবীর সাথে। তিনি চোখের জল মুছতে মুছতে জানান, নাতি কার্তিকের বয়স তখন মাত্র ৮ বছর। কার্তিকের মা কার্তিক ও তার ছোট্ট ভাইকে রেখে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। বাবা তামার কাজে কলকাতায় থাকেন। প্রায় ৬ বছর ধরে কার্তিক দিল্লিতেই সোনার কাজ করতো। বাড়ি এলে অন্যের ডিজে মাইক সেট চালাতে যেতো। সেবার হুগলি জেলায় ডিজে বাজাতে গিয়েই প্রেমে পড়ে। দু’মাস হবে বিয়ে করে কার্তিক লখনউতে নাত বউয়ের জামাইবাবুর কাছে কাজে যায়। সাথে নাত বউ মিঠুকেও নিয়ে যায়। সেখানেই শুক্রবার রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় তার। পরিবারের অভিযোগ, কার্তিকের উপর নানা ভাবে মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এ মৃত্যু স্বাভাবিক নয়।

 

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!