কয়েক হাজার পরিবারের ‘অন্নদাতা’ উৎপল(ধুলু) দাস প্রয়াত হলেন

দেবাশিস কর্মকার: চলে গেলেন দাসপুরের কুটিরশিল্পের প্রাণপুরুষ উৎপল দাস। মৃত্যুকালীন তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২। বেশ কয়েকমাস শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ১ অক্টোবর ২০২০ তথা বৃহস্পতিবার রাতে তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর স্ত্রী নিভাদেবী বেশ কয়েক বছর হল প্রয়াত হয়েছেন। উৎপলবাবু রেখে গেলেন তাঁর এক পুত্র, দুই কন্যা সহ বহু আত্মীয়-পরিজনকে। উৎপলবাবুর প্রয়াণে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকার মানুষ  তাঁর এই পরিণত বয়সের মৃত্যুকেও আজ মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না।
দাসপুর থানার রসিকগঞ্জের ‘নিউ পদ্মা পারফিউমারী ওয়ার্কস’ এর স্থপতি এই মানুষটি দাসপুর সহ গোটা এলাকায় শুধু একজন উদ্যোগী পুরুষ হিসেবে নয়, বহু মানুষের অন্নদাতা হিসেবে বিশেষ সমাদৃত। এপর্যন্ত কয়েক হাজার গরিব পরিবারের রুজির সংস্থান করেছেন। জীবনের শেষে আজ রেখে গেলেন তাঁর যৌবন থেকে তিল তিল গড়ে তোলা কর্মক্ষেত্র, যেখান থেকে ভবিষ্যতেও বহু মানুষের অন্নের সংস্থান হবে।
যৌবন থেকেই কর্মচঞ্চল উৎপলবাবু সবদিন স্বাধীনভাবে কিছু করার স্বপ্ন দেখতেন। শুধু নিজের সাফল্য নয়, ইচ্ছে ছিল এমন কিছু করবেন যা দিয়ে বহু মানুষের রুজির সংস্থান হবে। জীবন দিয়ে তাই করেছেন। তাঁর স্ত্রী নিভারানীদেবী তাঁর কর্মজীবনে সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন। তাঁর কর্মে তিনি নিরন্তর সহযোগিতা করে গিয়েছেন।  বর্তমানে ওই ধুপ কারখানার দৌলতে বহু দরিদ্র পরিবারের মহিলারা  পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে পেরেছেন। উৎপলবাবুর জীবন বহুমুখী। শুধু নিজের কর্মজীবনের মধ্যেই নিজেকে আবদ্ধ রাখেননি। সারা জীবন ধরে বহু সমাজসেবামূলক কাজ করে গিয়েছেন। যেকোনও সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নয়নে তাঁর ছিল বিপুল উৎসাহ। স্কুল বা পাঠাগার নির্মাণ অথবা মন্দির তৈরি সব ক্ষেত্রেই মুক্ত হস্তে দান করে গিয়েছেন। তাঁর এই কাজের জন্য কোনও নামের প্রত্যাশা করেননি, এমনকি কোথাও নিজের গুণগান শুনলে অস্বস্তিবোধ করতেন। আজীবন কর্মচঞ্চল, উদার এই মানুষটিকে গোটা এলাকাবাসী চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণে রাখবে!
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!