দীর্ঘদিন পর চন্দ্রকোণা গ্ৰামীণ হাসপাতালে সিজার পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশি চন্দ্রকোণাবাসী

তনুপ ঘোষ, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বন্ধ ছিল চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালের সিজার পরিষেবা এবং অপারেশন পরিষেবা। [‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] ৩০ মে সোমবার সেই সমস্ত সমস্যার সমাধান করে ওই হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের দরজা খুলে দেওয়া হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর হাসপাতালে এই পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশি ওই হাসপাতালের সমস্ত ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে পাশাপাশি এলাকার মানুষজনও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন পর্যন্ত হাসপাতলে সে অর্থে কোনও গাইনোকোলজিস্ট ছিল না। অপারেশন করার জন্য কোনও ভালো ডাক্তার ছিল না। যে কারণে এতদিন হাসপাতালে এইসব পরিষেবাগুলি বন্ধ ছিল। শুধুমাত্র রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা টুকুই করা হতো এই হাসপাতালে। সেই সব সমস্যা কাটিয়ে অবশেষে হাসপাতলে অপারেশন পরিষেবা চালু করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, এদিনই গড়বেতা থানার ফতেগঞ্জ গ্রামের এক প্রসূতি রঙ্কিতা পান প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে চন্দ্রকোণা হাসপাতালে ভর্তি হন। পরিবারের লোকজন জানতেন এই হাসপাতালে সিজার করা হয় না। তাই তাঁরা ভেবেছিলেন প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই প্রসূতিকে হয়তো মেদিনীপুর বা ঘাটাল হাসপাতালে নিয়ে চলে যাবেন। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে দেখেন সেখানে সফলভাবে প্রসূতির সিজার করা হল। ওইদিন হাসপাতালের তরফে মিষ্টি মুখ করানো হয় ওই প্রসূতির পরিজনদের, মিষ্টি মুখ করানো হয় হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদেরও।

হাসপাতালের বিএমওএইচ ডঃ স্বপ্ননীল মিস্ত্রি বলেন, এতদিন এই হাসপাতালে চিকিৎসক ও অ্যানাস্থিসিস্ট স্পেশালিষ্টের অভাবে বন্ধ ছিল অপারেশন ও সিজার পরিষেবা। এ বছরের জানুয়ারি মাসে একজন গাইনোকোলজিস্ট জয়েন করেন এবং চলতি মাসেই একজন অ্যানাস্থিসিস্ট স্পেশালিষ্ট জয়েন করেন এই হাসপাতালে। তাই সফলভাবে আমরা এই পরিষেবা দিতে পেরেছি। এবার থেকে সপ্তাহে সাত দিন যাতে সিজার ও অপারেশন পরিষেবা চালু রাখা যায় তারজন্য এই পদে আরও চিকিৎসক প্রয়োজন। সিএমওএইচ’কে বিষয়টি জানানো হয়েছে আশাকরি খুব শীঘ্রই তা পেয়ে যাবো।

উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত চন্দ্রকোণা হাসপাতাল ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজনকে যেকোনও অপারেশন বা বড় রোগের চিকিৎসা করাতে হয় মেদিনীপুর নাহলে ঘাটাল হাসপাতালে ছুটতে হত। চন্দ্রকোণা থেকে মেদিনীপুরের দুরত্ব ৪২ কিমি আর চন্দ্রকোণা থেকে ঘাটালের দুরত্ব ২৪ কিমি। এতদূরে রোগীদের নিয়ে যেতে ঝামেলাও পোহাতে হত। তাই হাসপাতালে এই পরিষেবা চালু হওয়ায় অনেক সুবিধা হয়েছে মানুষের। চন্দ্রকোণার পাশ্ববর্তী গড়বেতা,কেশপুরের একাধিক ব্লকের মানুষ স্বস্তি পেয়েছেন।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!

'স্থানীয় সংবাদ'-এর সাংবাদিক। ক্ষীরপাই শহরে(পশ্চিম মেদিনীপুর) বাড়ি। চন্দ্রকোণা থানা এলাকার যে কোনও খবরের জন্য আমাকে কল করতে পারেন। •মো: 9153931055/9732784129/9732738015 •ইমেল: [email protected]