বীরসিংহে বিদ্যাসাগরের মৃত্যু দিবস পালিত হল

মনসারাম কর:পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের   ১২৯ তম মৃত্যু দিবসকে কেন্দ্র করে আজ ৩০ জুলাই ঘাটাল মহকুমার বীরসিংহে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল থেকেই অনুষ্ঠানগুলির আয়োজন করে  বিদ্যাসাগর স্মৃতিরক্ষা কমিটি এবং ভগবতী বিদ্যালয়।
আজকের এই স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট    ঘাটালের মহকুমা শাসক অসীম পাল, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপিকা ও গবেষক ড. মনাঞ্জলি বন্দ্যোপাধ্যায়, ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের টিআইসি লক্ষ্মীকান্ত রায় ও অধ্যাপিকা  ড. দেবতুসি মিশ্র চৌধুরী, ঘাটালের জয়েন্ট বিডিও শুভাশিস মেইকাপ, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুপা মান্না ও সহ সভাপতি দিলীপ মাজি, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বিকাশ কর প্রমূখ।
এই সভায় উপস্থিত থেকে মহকুমা শাসক বিদ্যাসাগরের অবদান নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এবং মহুকুমা জুড়ে  সমাজের সমস্ত স্তরে বিদ্যাসাগরের চিন্তা ধারা যাতে আরো বেশি করে ছড়িয়ে দেয়া যায় তার মত প্রকাশ করেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত  অধ্যাপিকা ড. মনাঞ্জলি বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেবতুসি মিশ্র চৌধুরী বিদ্যাসাগরের নারী চেতনা ও নারী শিক্ষার উপর গবেষণা মূলক কিছু তথ্য নিপুণভাবে তুলে ধরেন।  লক্ষীকান্ত রায় এই অনুষ্ঠান থেকেই কলকাতায় বিদ্যাসাগর এর মূর্তি ভাঙার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কলকাতার বুকে বিদ্যাসাগরের একটি মূর্তি ভাঙা হল। সারা ভারতবর্ষের বুকে দাঁড়িয়ে আমরা লজ্জিত হলাম। আমরা আহত বোধ করলাম। আজকের অনুষ্ঠানে   সাহিত্যিক সাধন বারিকও উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার ছোট্টো ছড়ার মাধ্যমে খুব ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন:
“মায়ের ইচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার, বাবার ইচ্ছে ডাক্তারি!/ জেঠুর ইচ্ছে উকিল হব,  দাদুর ইচ্ছে মাস্টারি।/ ইচ্ছে গুলো কেমন যেন, ভেবেই আমি থ!/ কেউ আমাকে বলল নাতো, খোকা মানুষ হ”

অনুষ্ঠানে বীরসিংহ ভগবতী বিদ্যালয়ের টিআইসি শক্তিপদ বেরা সরকারি সহায়তায় এই অনুষ্ঠানটিকে আর বড় মাত্রায় করার প্রস্তাব তোলেন।

 

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!