মড়া পোড়ানো আধপোড়া কাঠে রান্না হয় মহাপ্রভুর ভোগ, পেটের সমস্যা দূর হয় এই প্রসাদে

তনুপ ঘোষ, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: মড়া পোড়ানো আধপোড়া কাঠ দিয়ে রান্না করা খাবারই পছন্দ করেন ক্ষীরপাইয়ের মহাপ্রভু। অদ্ভুত এই নিয়ম ক্ষীরপাই পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের লয়েরগোড়া শ্মশানের মহাপ্রভুর রান্নার ক্ষেত্রে। শ্মশানের উপর অধিষ্ঠিত এই মহাপ্রভু। প্রতিবছর মকর সংক্রান্তির দিনে মহাপ্রভুর বড় পুজা হয়। আর পুজোকে ঘিরে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করেন। মহাপ্রভুর বড় পুজোর উপলক্ষে আজ রাতে প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ খিচুড়ি ভোগ প্রসাদ পাবেন। আর সেই রান্না করার জন্য চন্দ্রকোণা এলাকার বিভিন্ন শ্মশান ঘুরে ঘুরে আধপোড়া কাঠগুলি সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয় এবং মহাপ্রভুর ভোগ রান্না হয় ওই আধপোড়া কাঠ দিয়েই।

কথিত আছে, মড়ার কাঠে রান্না করা মহাপ্রভুর ভোগ খেলে নাকি পেটের রোগের সমস্যা থাকে না। আর এই ভোগ পাওয়ার জন্যই দূর-দূরান্ত থেকে লোক ছুটে আসেন। এলাকার বাসিন্দা গোপাল ভূঁইয়া, গোপাল দাস বৈরাগী বলেন, আমরা পূর্বপুরুষের মুখ থেকে শুনে আসছি এই পুজোর কথা। এই ভাবেই পরম্পরায় মহাপ্রভুর পুজো হয়ে আসছে। মন্দিরের বংশ পরম্পরায় পুরোহিত শক্তি চক্রবর্তী বলেন, আমার দাদু তাঁর দাদু এই মন্দিরে পুজো করতেন। বর্তমানে আমাদের পরিবারের সদস্যরাই এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত। মহাপ্রভু প্রায় ৪০০ বছরের অধিক প্রাচীন। মানুষ এখানে আসেন বিভিন্ন মনস্কামনা নিয়ে আর সেই মনস্কামনা পূরণ হয় বলেই হাজার হাজার মানুষ আজ এখানে এসে উপস্থিত হন বলে তাঁর দাবি। আজকের এই মহাপ্রভুর পুজো নিয়ে ক্ষীরপাই সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে এই পুজোর কাজ করেন। মন্দিরের কর্মকর্তা বাবলা সাঁতরা বলেন, মানুষ নিজের থেকে এসে এখানে চাঁদা দেন এবং সেই দানেই এতো মানুষের ভোগ বিতরণ করা হয়। লয়ের গড়ার মহাপ্রভুর মাহাত্ম্য আজ এলাকার মানুষের মুখে মুখে।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!

'স্থানীয় সংবাদ'-এর সাংবাদিক। ক্ষীরপাই শহরে(পশ্চিম মেদিনীপুর) বাড়ি। চন্দ্রকোণা থানা এলাকার যে কোনও খবরের জন্য আমাকে কল করতে পারেন। •মো: 9153931055/9732784129/9732738015 •ইমেল: [email protected]