জীবনযুদ্ধের আর এক নাম দয়া পিসি

সৌমেন মিশ্র,ঘাটাল:চল্লিশে স্বামী হারিয়ে ১৪ বছরের মেয়েকে নিয়ে দিগ্বিবিদিক্ দিশা হারিয়ে ছিলেন ঘাটাল মনোহরপুরের মাল বাড়ির গৃহবধু। তার উপর শ্বশুর বাড়ির টিকা-টিপ্পনি!

সেই মাঝ বয়সেই মেয়েকে নিয়ে দাসপুর রাজনগরের বাপের বাড়িতে ফিরলেন দয়া মাল আলু। এক ভাই ও সাত বোন নিয়ে ছিল বাপের বাড়ির সংসার। ভাইকে যথেষ্ট সহযোগিতাও করেছেন সেই সময়। মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে বিয়েও দিয়েছেন ভালো পরিবারে।তবে সবই নিজের টাকায়।

শ্বশুরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে বাপের বাড়িতে এসেই চল্লিশ বছর বয়সের ওই বিধবা বাপ-কাকার দুধ ব্যবসাকেই পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন। আর তা দিয়ে নিজের টাকায় তৈরি করেন একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই, সাথে মেয়েকে ও নাতি নাতনিদের পড়াশোনা করিয়ে মানুষ করা।

সেই দয়ারানি মাল আজ চুয়াত্তরের শক্ত চোয়ালের বৃদ্ধা দয়া পিসি। গোটা রাজনগর এক ডাকে চেনে দয়া পিসিকে।

আরও খবর পড়তে এইখানে ক্লিক করুন  Whatsapp

বয়সের ভারে কোমর নুয়ে পড়েছে। তবে এই বয়সেও শক্ত সবল তাঁর দুই হাত। ভোর হতে না হতেই দুহাতে দুটো বালতি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি বাড়ি গরুর দুধ দুইতে। সেই দুধ পাড়ায় পাড়ায় বিক্রি করে যা আয় হয় তাই দিয়েই চলে যাচ্ছে দিন।

তবে মাকে নিয়ে চিন্তার শেষ নেই মেয়ে ছবি আলুর। এই বয়সে এত খাটাখাটনি, কখন কী হয়! তবে দয়া পিসির তাতে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই।

চশমার ওপর দিয়ে চোখ তুলে নড়বড়ে কন্ঠে বলেন,[quote style=’1′ cite=”]তুই অত চিন্তা করিসনি তো, গতর যতদিন খাটাতে পারবো ততদিনই সুস্থ থাকব[/quote]

ছবি-সুদীপ আলু।

আরও খবর পড়তে এইখানে ক্লিক করুন  Whatsapp

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!