করোনার দ্বিতীয়: দিন ঘাটালের কোথাও থমথমে কোথাও বা জনসমুদ্র

নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনার আতঙ্কে থমথমে আবহাওয়া ঘিরেধরল গোটা ঘাটাল শহরকে। চোখে পড়ার মতো নিস্তব্ধতা ছিল ঘাটাল হাসপাতাল চত্বর, কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ড, কলেজ মোড় চত্বরে। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে এক যুবককে ২০ ডিসেম্বর মেদিনীপুর করোনা হাসপাতালে পাঠানোর পর থেকেই চিন্তায় ছিল ঘাটাল শহর। গতকাল ২৩ এপ্রিল রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট মেদিনীপুরে এসে পৌঁছানোর আসার পরেই সেই আশঙ্কা সত্যি হলো। এরপরই আক্রান্ত যুবককে মেদিনীপুর করোনা হাসপাতাল থেকে মেচোগ্রামের করোনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এদিকে ১৩নম্বর ওয়ার্ডের যে বাড়িটিতে করোনা আক্রান্ত যুবক তথা অ্যাম্বল্যান্স চালকটি ভাড়া থাকতেন সেই বাড়ির সদস্য সহ এই বিল্ডিঙের সবাইকে পাঠানো হলো কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আর রাতের মধ্যেই তড়িঘড়ি করে প্রশাসনের তরফে ঘাটালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি নির্দিষ্ট এলাকা স্যানিটাইজ করে সিল করে দেওয়া হল। যেহেতু ওই যুবক ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ২০ তারিখে কিছুক্ষণের জন্য ভর্তি ছিলেন তাই রাতেই ঘাটাল হাসপাতাল স্যানিটাইজেশন করা হয়। আজ সকাল থেকেই ঘাটাল শহরের অধিকাংশ জায়গায় ছিল শুনশান প্রায় জনমানব শূন্য। হাসপালাত চত্বর থেকে ১৩ নম্বর সহ সর্বত্রই চলছে পুলিশ টহল। অবাঞ্ছিত মানুষদের যাতায়াত করতে দেওয় হচ্ছে না।  তবে অবাক করার বিষয় এই আতঙ্কের কোন রেশ যেন পৌঁছায়নি ঘাটালে পার্শ্ববর্তী এলাকা দাসপুর, ঘাটালের রাধানগর, কামালপুর,রানীচক,বরদা সহ একাধিক এলাকায়। ঘাটালের কিছু এলাকাতেও অবশ্য একই রকম চিত্র দেখা গেছে ঘাটালের স্থানান্তরিত বাজার রথ তলায় সবজি,মাছ কেনার ভীড় একটুও ফিকে হয়নি। দাসপুর বাজারের লোক সমাগম দেখে বোঝার উপায় নেই যে এলাকার মানুষের মধ্যে করো না নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা বা সচেতনতা আছে। কিছুদিন আগেই খোদ দাসপুরেই একটি গোটা গ্রাম করোনার জন্য করা সিল করা ছিল সেটাও কারো অজানা নয়।
গোটা জেলা জুড়ে যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী তখনও মানুষের এতটা অবহেলা যে কতটা ভয়ানক পরিণতির ইঙ্গিত দিচ্ছে সেটা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। তবে সব জায়য়ার একই চিত্র নেই। ঘাটাল ব্লকের ধরমপুর এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগেই এলাকা সিল করে দিয়েছেন। ওই এলাকা থেকে সাহেব দোলইয়ের ক্যামেরায় তোলা ভিডিওগুলি দেখে নেব। একই ভাবে পান্না গ্রামেও সিল করে দেওয়া হয়েছে।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!