বিদ্যুৎ বিল জমা দিয়েও কেন বকেয়া বিল? দাসপুরে বিক্ষোভ

ইন্দ্রজিৎ মিশ্র, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: বিদ্যুতের বিল জমা দিয়েও বিল কেন বকেয়া থাকবে? মিটার রিডিং(Meter reading) নিতে আসা বিদ্যুৎ কর্মীকে আটকে বিক্ষোভ।[‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন]
ঘটনাস্থলে পৌঁছাল দপ্তরের প্রতিনিধি দল। দাসপুর(Daspur) থানার রামবাটি গ্রামের ঘটনা। আজ সোমবারের বেলা প্রায় ১টা থেকে গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় বিদ্যুতের(electricity) মিটার রিডিং শুরু হয়। মিটার রিডিংএ এ মাসের বিল দেখে তাদের চক্ষু চড়ক গাছ। তাদের নাকি আগের বিল বকেয়া(Pending)। আর সেই বকেয়া বিল চড়েছে এ মাসের বিলে। গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলো কাছে একটা মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল(Electric bill)। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তারা আগের মাসের বিল অন লাইনে পেমেন্ট(Online payment) করেছেন এলাকার বিভিন্ন তথ্যমিত্র কেন্দ্র বা সাইবার ক্যাফে(Cyber Cafe) গুলি থেকে। তার রসিদও আছে। তাদের কাছে। তাদের প্রশ্ন তাহলে কেন আবার সেই বিল দিতে হবে? যে ব্যক্তি মিটার রিডিং নিতে এসেছেন তাঁকে আটকে রেখে বিদ্যুৎ দপ্তরের(Electric Department) বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই গ্রামের ৪০ থেকে ৫০ টি পরিবারের শতাধিক মানুষ। খবর পেয়ে বিকেল ৩টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিদ্যুৎ দপ্তরের সোনাখালী গ্রাহক পরিসেবা কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। তাঁরা গ্রামবাসীদের সমস্ত সমস্যা শোনেন এবং গ্রামবাসীদের জানান তাঁদের কোনও বকেয়া বিল নেই। মূলত তাঁদের অনেকে নির্দিষ্ট দিনের পরে বা কেউ স্থানীয় কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা থেকে অনলাইনে পেমেন্ট করেছেন। সময়ে তাদের দপ্তরে সেই বিল পৌঁছায়নি। পাশাপাশি বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা এও জানান গ্রামবাসীরা যে রসিদ দেখাচ্ছেন তা বিদ্যুৎ দপ্তরের কোনও পেমেন্ট স্লিপ নয়। ওগুলো সাধারণ ট্রান্সজাকশন স্লিপ। তাঁরা জানান, যেখান থেকে বিদ্যুৎ বিল জমা করা হচ্ছে সেখানেই কিছু সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। তেমন হলে বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদ্যুৎ দপ্তরের আশ্বাসে দাসপুরের রামবাটী গ্রামের মানুষ আশ্বস্ত হয়।

 

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!