সময়ে পুলিশ না পৌঁছালে গোবিন্দপুরে বাড়ির ছাদেই বাবার মৃতদেহ পুড়ত!

ইন্দ্রজিৎ মিশ্র:ছেলে দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার এক দিন পরেই বাবার মৃত্যু। আজ রবিবার সকাল থেকেই করোনা আতঙ্কে মৃতদেহ পোড়ানো নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে দাসপুর থানার ধানখাল এলাকার গোবিন্দপুরে। পরে অবশ্য পুলিশের হস্তক্ষেপে গ্রামের চুল্লিতেই মৃতদেহ পোড়ানো হয়।

ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারীর অগ্নিশ্বর চৌধুরী বলেন, দাসপুর থানার গোবিন্দপুরে এক মৃতদেহ পোড়ানো নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। বর্তমানে মৃতদেহ পোড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় কোনও সমস্যা নেই।

শনিবার ১৩ জুন বিকেল ৪টা নাগাদ দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগে মৃত্যু হয় গোবিন্দপুরের বাসিন্দা বছর ৭৬ বয়সী রতন প্রামাণিকের। শুক্রবার রতনবাবুর ছেলে সপরিবারে দিল্লি থেকে এসেছিলেন। যেহেতু ছেলে হোম কোরেন্টাইনে থাকার সময় বাবার মৃত্যু হয়েছে তাই গ্রামের চুল্লিতে রতনবাবুকে পোড়াতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার তৃণমূল নেতা তথা দাসপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জয়তী সামন্তের স্বামী কৃষ্ণ সামন্ত মৃতের পরিবারদের হুমকি দিয়ে বলেন, কোনও ভাবেই গ্রামের চুল্লিতে ওই মৃতদেহ পোড়ানো যাবে না।♦ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এক গ্রামবাসী।

মৃতের ছেলে অসিত প্রামাণিক বলেন, ফলে আমরা শ্মশানে মৃত নিয়ে গিয়ে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হই। সেখান থেকে অন্য একটি জায়গায় পোড়াতে চাইলেও পোড়াতে দেওয়া হয়নি। তাই বাবাকে বাড়ির ছাদে পোড়ানোরই উদ্যোগ নিচ্ছিলাম। সেই সময়ই ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশ বাহিনী গ্রামে আসে। পুলিশের সহযোগিতায় এবং উপস্থিতিতে সেই গ্রামের চুল্লিতেই পোড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। অসিতবাবু বলেন, গ্রামের বহু মানুষ আজ বাবার সৎকারে সহযোগিতা করেছেন। আর পুলিশ পাশে না থাকলে আমাকে আজ বাড়ির ছাতেই বাবাকে দাহ করার ব্যবস্থা করতে হত।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!